চসিককে ১৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিএমডিএফ

চসিককে ১৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিএমডিএফ 1বিশেষ প্রতিবেদক : বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) ১৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ মিনিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ)। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ১২০ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে এবং ২০ শতাংশ অর্থাৎ ৩০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কনফারেন্স রুমে প্রকৌশল বিভাগের ৪টি স্থায়ী কমিটির সভায় চসিক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন এই তথ্য জানান। স্থায়ী সভাগুলো হলো- পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ স্থায়ী কমিটি, যোগাযোগ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, পানি, বিদ্যুৎ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এবং নগর অবকাঠামো নির্মাণ ও সংরক্ষণ স্থায়ী কমিটি।

মেয়র বলেন, বিএমডিএফ থেকে ঋণ হিসেবে প্রাপ্ত ৩০ কোটি টাকার জন্য ৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। ১০ বছরের মধ্যে পরিশোধের শর্তে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে এই ঋণ দিচ্ছে সংস্থাটি। বিএমডিএফের ১৫০ কোটি টাকায় ৩টি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। প্রকল্পগুলো হলো- ফইল্যাতলী বাজারে কিচেন মার্কেট কাম ১০ তলা কমার্শিয়াল ভবন নির্মাণ; বকশিরহাটে কিচেন মার্কেট কাম ১০ তলা কমার্শিয়াল ভবন নির্মাণ এবং দক্ষিণ আগ্রাবাদে মাল্টিপারপাস কনভেনশন হল নির্মাণ।

তিনি বলেন, এই ৩টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে কর্পোরেশনের আয় বাড়বে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামকে এই প্রকল্প ৩টির প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) নিয়োগ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্প ৩টির কাজ শেষ করতে হবে।

স্থায়ী সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন বলেন, অতি বর্ষণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি মৌসুম শেষ হলে ওই রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ শুরু হবে। সড়ক, নালা-নর্দমা, ফুটপাত ইত্যাদি উন্নয়ন, নির্মাণ ও মেরামতে ইতোমধ্যে ২টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের দরপত্র কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ৮৮৪ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এই প্রকল্প ২টি বর্তমানে একনেকে পাশের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পগুলোর কার্যাদেশ অক্টোবর নাগাদ দেওয়া যাবে।

এদিকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সভায় নগরীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। সভায় ডিপ টিউবঅয়েলের মেইনটেনেন্স ও এর মেরামতের সব ব্যয় এর সুবিধাভোগীদের বহন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহ লাইন সংস্কারে যে সড়কগুলো কাটা হয়েছে- সেগুলো চিহ্নিত করে এর তালিকা আগামী স্থায়ী কমিটির সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রধান প্রকৌশলী, সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।

ওই সভাগুলোতে স্থায়ী কমিটিগুলোর সভাপতি ছালেহ আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল কাদের, মোহাম্মদ জাবেদ, মো. মোরশেদ আলম, কমিটিগুলোর অন্যান্য সদস্য, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, নগর পরিকল্পনবিদ এ.কে.এম. রেজাউল করিমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!