জীবন বাঁচাতে হাসপাতালে আনার পর লোকটি হঠাৎ মারা যান। এরপরই ঘটে অভিনব এক ঘটনা। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ রেখে একে একে পালিয়ে গেলেন স্বজনরা। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ঘটলো এমন ঘটনা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর তিনটায় নিশিতা (৩৫) নামে একজন রোগীকে পেটব্যথাজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। মৃত নিশিতা ১৬ নং ওয়ার্ডের ৩ নং মেডিসিন ইউনিটের ১৫ নাম্বার বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৩৫ মিনিটে মারা যান।
রোগীর মৃত্যুর কারণ সংবলিত সার্টিফিকেট তৈরি করার পর সেই কাগজপত্র ফেলে রোগীকে বারান্দায় রেখেই স্বজনরা উধাও হয়ে যান। মধ্যরাত থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কোনো স্বজনের দেখা মেলেনি। রেজিস্ট্রার বইতে যে ঠিকানা দেওয়া আছে সেটিও ভুয়া বলে জানা গেছে। এমনকি যে মুঠোফোন নম্বর দেওয়া আছে তাও আছে সংযোগবিহীন অবস্থায়। মুঠোফোন নম্বরটি হলো ০১৮৫৫৫১৭৯৪৮। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহুবার চেষ্টা করে কোনো সন্ধান না পেয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। মৃতদেহটি বর্তমানে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মচুর্য়ারিতে রাখা আছে।
হাসপাতালে নিবন্ধনের সময় নিশিতার ঠিকানা হিসেবে লেখা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকার রূপালী আবাসিক। তার পিতা ও মায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যথাক্রমে সোলেমান ও ফেরদৌস।
এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.আখতারুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মূল্যবোধের কতটা বিপর্যয় হলে এমন ঘটনা হতে পারে! মৃত ব্যক্তির সাথে তাদের সম্পর্ক বা পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। থানায় জিডি করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করে যদি স্বজনদের খবর পাওয়া না যায় তবে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে দাফন করা হবে বা প্রয়োজন হলে হাসপাতালের এনাটমি (অঙ্গব্যবচ্ছেদবিদ্যা) বিভাগে দেওয়া হবে।’