চট্টগ্রাম বন্দরে চলতি মাসেই বসছে আরো দুটি স্ক্যানার

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার পরীক্ষা আরো সহজীকরণের লক্ষ্যে বসানো হচ্ছে আরো দুটি স্ক্যানার। চলতি জুলাই মাসেই বসানো হবে স্ক্যানার দুটি। ইতোমধ্যে চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে যাবতীয় মেশিনারি। সম্প্রতি টানা বৃষ্টির জন্য স্ক্যানার বসানোর কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ আশা করছে জুলাই মাসের মধ্যেই নতুন স্ক্যানারে অপারেশনাল কাজ শুরু করা যাবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেট, ৫ নস্বর গেট, সিসিটি ২-এ তে একটি করে স্ক্যানার এবং একটি মোবাইল স্ক্যানারসহ মোট চারটি স্ক্যনার আছে। তবে এই চারটি স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার পরীক্ষা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এতে বন্দরের অভ্যন্তরেই যানজট ও কন্টেইনার জট লেগে যায়। অনেক সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে শতভাগ স্ক্যানিং ছাড়াই কন্টেইনার ছেড়ে দিতে হতো। নতুন করে স্ক্যানিং মেশিন বসানোয় কন্টেইনার পরীক্ষায় কিছুটা গতি আসবে বলে মনে করছে বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার (প্রিভেনশন) মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে স্ক্যানার মেশিন দুটি আমদানি হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে চলতি জুলাই মাসে মেশিন দুটি বসানো যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার পরীক্ষা আরো নিরবিচ্ছিন্ন করতে নতুন দুটি ছাড়া আরো স্ক্যানিং মেশিন সংযোজনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

কাস্টম সূত্র জানায়, স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে আমদানি কিংবা রপ্তানির কন্টেইনারভর্তি পণ্যের ভেতর কোন ধরনের পণ্য রয়েছে তা কম্পিউটারে দেখা যায়। এই মেশিনের মাধ্যমে এক পণ্য ঘোষণা দিয়ে অন্য পণ্য আমদানি রোধসহ জালিয়াতি বন্ধ করা যাবে।

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!