গ্রামে ফেরা/ ফাঁকা হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম শহর, টার্মিনালে ভিড়

জীবিকার প্রয়োজনে শহরে আবাস গড়লেও মন পড়ে থাকে অন্য কোথাও, যেখানে রয়েছে নাড়ির টান। ইটপাথরের এই শহর ছেড়ে সবাই ফিরতে চায় গ্রামে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে নগরের বিপুলসংখ্যক মানুষ। তাই ফাঁকা হতে শুরু করেছে নগর।

ঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাস, ট্রেন বা লঞ্চের টিকিটপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত নানা কাট-খড় পোহাতে হয় যাত্রীদের। তবুও নিজের জম্মস্থান, নিজগ্রামে ঈদ উদযাপনে উদগ্রিব মানুষ। পথের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ নিমিষেই ভুলে যায় পরিবারের সাথে দেখা মিললে।

নগরবাসী পরিবার পরিজনের সঙ্গে আনন্দ উদযাপন করতে পাড়ি দিচ্ছে দেশের বাড়িতে। ৩ জুন (সোমবার) অফিস-ডে থাকলেও অনেকেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন স্ত্রী-সন্তানদের।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকেই বাড়ির পানে ছুটতে শুরু করেছে অনেকে। তবে শনিবার (১ জুন) ও আজ ভিড় বেড়েছে রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনাল-স্টপেজগুলোতে।

শনিবার ভোর থেকেই নগরের বিভিন্ন টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সেহেরির পরপরই বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এসছেন লোকজন। তবে এদের বেশিরভাগই ছাত্র আর পরিবারের সদস্য। পরিবারের প্রধান কিংবা কর্মজীবীরা এখনো শহর ছাড়ছেননা কারণ ৩ জুনের কর্মদিবস শেষ করে তারাও বাড়ির পথে নামবেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিছ। সে যাচ্ছে তার দেশের বাড়ি চাঁদপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী জানান, এখন ক্লাস-পরীক্ষা কিছুই নেই। তাই কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরছি। আর ভোরে মহাসড়কে যানজটের বিরম্বনা থাকেনা। তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যেতে পারব আশা করি।

শনিবার সকালে মানুষের বাড়ি ফেরার যাত্রায় হঠাৎ বৃষ্টি কিছুটা বিপত্তির সৃষ্টি করে।

ব্যাংকা কর্মকর্তা রাসেল হামজারবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন সিএনজির জন্য। যাত্রী ছাউনি না থাকায় কিছুটা ভিজে গেছেন তিনি। আলাপকালে তিনি বলেন, রাজশাহীর বাড়িতেই এবারের ঈদ করব। ৩ জুন অফিস করে রাতের ট্রেনে আমি বাড়ি যাবো। তখন চাপ বেশি হবে তাই স্ত্রী-সন্তানদের আগে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষের আসল যুদ্ধ শুরু হবে আগামীকাল সোমবার থেকে। সরকারি চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ সোমবার থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!