কোরবানীর বর্জ্য অপসারণে চসিক’র নজিরবিহীন সাফল্য

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানীর পশুর বর্জ্য, নাড়ি-ভুঁড়ি অপসারণে নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করেছে। গত মঙ্গলবার পবিত্র ঈদের দিন সন্ধ্যার মধ্যে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের পুরো এলাকা পরিষ্কার করে এ নজির স্থাপন করে চসিক।

dsc_0260

 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সকাল থেকে ওয়ার্ড ওয়ারী আবর্জনা অপসারণে গাড়ী ব্যবস্থাপনা, সেবকদের উপস্থিতি, তত্ত্বাবধায়ক, পরিদর্শন, সুপারভাইজার ও দলপতিদের উপস্থিতিসহ সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করেন।

 

দুপুরে মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে এবং নগরীর হালিশহর ও আরিফিন নগর আবর্জনাগারে কোরবানীর পশুর বর্জ্য, নাড়ি-ভুঁড়ি ডাম্পিং কার্যক্রমও সরেজমিনে দেখতে যান। তিনি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক বিশেষ করে সিডিএ এভিনিউ, শেখ মুজিব রোড, পোর্ট কানেক্টিং রোড, জাকির হোসেন রোড সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবর্জনা সংগ্রহ কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন। সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বিকেল ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত নগরীর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সরাসরি মনিটরিং করেন।

 

এ সময় মেয়রের সাথে প্যানেল মেয়র-৩ নিছার উদ্দিন আহমেদ, কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য ষ্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শৈবাল দাশ সুমন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ সফিকুল মন্নান সিদ্দিকী, নির্বাহী প্রকৌশলী যান্ত্রিক সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ ঝুলন কুমার দাশ, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ হাসান রেজা, সহকারী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

dsc_0264

এবারের ঈদুল আযহায় নগরীর হালিশহর আবর্জনাগারে ১৯টি ওয়ার্ডের এবং আরিফিন নগর আবর্জনাগারে ২২টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ডাম্পিং করা হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শৈবাল দাশ সুমন এর তত্ত্বাবধানে ৪১ টি ওয়ার্ডকে ৪টি জোনে বিভক্ত করা হয়।

উত্তর জোনের মোট ১০ টি ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, দক্ষিণ জোনের মোট ১১টি ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ, পূর্ব জোনের ১১টি ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক ও পশ্চিম জোনের ০৯টি ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন কাউন্সিলর জেসমিনা খানম।

বর্জ্য অপসারণে প্রায় ২ হাজার ৫ শত সেবক এবং ১৮০ টি গাড়ী, ৩৬টি টমটম, কাজে লাগানো হয়। দামপাড়াস্থ কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হয়। ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর, ৪টি জোন চেয়ারম্যান সার্বক্ষণিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি ও মনিটরিং করেন। এ ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন নগরীর বর্জ্য অপসারণে সহযোগিতা করেন।

 

এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এক বিবৃতিতে কোরবানী পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে সিটি কর্পোরেশনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় সর্বস্তরের নগরবাসী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক, কাউন্সিলর, মহিলা কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবক, গাড়ীর চালক, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলকে ধন্যবাদ জানান।

 

বিশেষ করে বর্জ্য অপসারণে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়াদি প্রচারে মসজিদের ইমাম, পত্র-পত্রিকা, বেতার ও টিভি চ্যানেল সহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পরিচ্ছন্ন কাজে সফলতার জন্য সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ওয়ার্ডকে পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।

রিপোর্ট : সুমন কুমার দে

এ এস / জি এম এম / আর এস পি / এস কে দে :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!