কারাগারে সকালের নাশতার মেন্যু বদলালো ২২৯ বছর পর
দুটি শুকনা রুটি ও শুকনা গুড়—কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই একই মেন্যুতে সকালের নাশতা খাচ্ছিলেন দেশের কারাবন্দিরা। কারাবন্দিদের জন্য ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই মেন্যু পরিবর্তন হল ২২৯ বছর পর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এটি পরিবর্তন করা হয়। এখন থেকে বন্দিরা সকালের নাশতায় মুখরোচক খাবারও পাবেন।
চট্টগ্রামসহ দেশের ৬৮টি কারাগারে রোববার (১৬ জুন) সকাল থেকে এই পরিবর্তন কার্যকর হল। এদিন সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে এর সূচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। চট্টগ্রাম কারাগারেও একই সময় খিচুড়ি বিতরণের মাধ্যমে নতুন মেন্যুর সূচনা করা হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে বন্দিরা সকালের খাবার হিসাবে সপ্তাহে দুই দিন ভুনা খিচুড়ি, চার দিন সবজি-রুটি, বাকি একদিন হালুয়া-রুটি পাবেন।
কারা সূত্র জানায়, কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সকালের নাশতায় একটি মেন্যু ছিল। মেন্যুটি হলো একজন কয়েদির জন্য ১৪.৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬.৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। আর একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেতেন ৮৭.৬৮ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। ব্রিটিশ আমল থেকে ২২৯ বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছিল দেশের কারাগারগুলোতে।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকালের নাশতা পরিবর্তনে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এতে আর্থিক বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নতুন অর্থবছরের প্রথম থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে আজ।