বিশেষ প্রতিনিধি : নগরীর বন্দর এলাকায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত আলোচিত মহেশখালের বাঁধটি অবশেষে অপসারণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩জুন) বিকেল ৩টায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে বাঁধ অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন।
২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় বাঁধটি নির্মাণ হয়। ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর বাঁধের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
এর পর থেকে বাধের কারণে হালিশহর, বন্দর, আগ্রাবাদ, সিডিএসহ বিশাল এলাকায় বৃষ্টির পানি এবং জোয়ারে পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে। এনিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি এবং বাধ ভেঙ্গে দেয়ার দাবী উঠলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ তা কর্ণপাত করেনি। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ২১ মে এলাকার হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ লোক বাঁধটি ভেঙে দিতে গেলে পুলিশের সাথে সংর্ঘষ বাধে। এসময় পুলিশ এলাকাবাসীর উপর গুলি চালালে বেশ কয়েকজন আহত হন।
.
এদিকে গত ৩দিনের লাগাতার বৃষ্টির কারণে নগরীর অধিকাংশ এলাকা কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায় দুর্ভোগে পড়েন লাখ লাখ মানুষ। শেষ পর্যন্ত মেয়র আ জ ম নাছির জনগণের চাপে আলোচিত বাঁধটি ভেঙ্গে দেয়ার ঘোষণা দেন। সে প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক বাঁধ ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, বন্দর সচিব ওমর ফারুকসহ স্থানীয় কাউন্সিলররা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও হাজার হাজার উৎসুক মানুষ ভীড় জমায়।
চসিকের প্রকৌশল বিভাগ লংবুম স্ক্যাভেটার, স্কিট স্টিয়ার লোডার, ব্যাক হো লোডার, ডাম্প ট্রাক, ক্রেনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি-নিয়ে অন্তত অর্ধশত শ্রমিক বাঁধ ভাঙ্গার কাজে অংশ নিয়েছেন।