ভারতের ওডিশায় আঘাত হানার ২১ ঘণ্টা পর আজ শনিবার সকাল ছয়টার দিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অতিক্রম করে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। আরও উত্তর দিকে চলে গিয়ে সকাল নয়টার দিকে রাজবাড়ী জেলা ও আশপাশের অঞ্চলে অবস্থান করছিল।
শনিবার সকালে ভোলার দক্ষিণ দিঘলদি এলাকায় ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়লে রানী বেগম (৪৫) নামে এক মহিলা চাপা পড়ে নিহত হন। নিহত রানী বেগম ওই এলাকার সামসুল হকের স্ত্রী ও দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধের বাসিন্দা। এখানকার দনিয়া, কাতিয়া, ইলশা, দক্ষিণ দিঘলদিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। এছাড়া বিস্তীর্ণ এলাকায় ফসল, রাস্তা-ঘাট ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়ার খাল এলাকায় ঘরচাপা পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন কালিয়ার খাল এলাকার নুরজাহান বেগম (৬০) ও তার নাতি জাহিদুল ইসলাম (৮)।
শনিবার সকালে ঝড়ে নিজ ঘরের কাঠ গায়ের ওপর পড়লে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলগী গ্রামে আনোয়ারা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সূর্বণচরের মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে ফণীর অগ্রভাগ থেকে সৃষ্ট প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর আমিনুল হক গ্রামে মো. ইসমাইল (২) নামে এক শিশু নিহত হয়। এছাড়া ঝড়ে চর জব্বর ইউনিয়নে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। তাদের সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গাছচাপায় কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খেজুরা গ্রামের মো. হাবিব নামে আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার সকালে লালমোহনের কচুয়াখালী চর থেকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে চর মাইনুদ্দিনে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে চার থেকে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নে আম কুড়াতে গিয়ে ঝুমুর (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিশু মারা গেছে।