বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার একই মাঠে দুইটি মঞ্চ : ১৪৪ ধারা জারি

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৭ বছর পূর্তি ও ১০০ বছর পূর্তির প্রস্তুতিমূলক সভা নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দুই পক্ষ বিদ্যালয় মাঠে পাল্টাপাল্টি মিছিল করলে ইউএনও সাইফুর রহমান খান সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। ইউএনও সাইফুর রহমান খান বলেন, প্রথমে দুই পক্ষকে সমঝোতার কথা বলা হয়েছে। তাঁরা কেউ মানতে নারাজ। তাই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য আজ ৪ এপ্রিল শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তালোড়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
জানা গেছে, ৪ এপ্রিল শনিবার বিদ্যালয়ের ৯৭ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। অপরদিকে নাগরিক কমিটি ১০০ বছর পূর্তির পালনের লক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা করার জন্য একই মাঠের বিপরীত পাশে আরেকটি মঞ্চ তৈরি করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯১৮ সালে কলিকাতা বোর্ডের অধিনে স্বীকৃত পায়। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ৯৭ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এক মাস আগে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আলোচনা করে পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি গঠন করে। উদযাপন কমিটি অনুষ্ঠান পালনের জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে। রঙিন মোড়কে দাওয়াত কার্ড ছাপিয়ে তা বিলি করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ও বিশেষ অতিথি জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা), ইউএনও দুপচাঁচিয়া ও ওসি দুপচাঁচিয়া।
এদিকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আরেক পক্ষ আগামীতে ১০০ বছর পূর্তি উদযাপন করার জন্য ৯৭ বছর পূর্তির আহ্বায়ক কমিটির বিরোধিতা করে। তাঁরা ৯৭ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান বয়কট করার জন্য গত কয়েকদিন যাবৎ প্রতিবাদ সভা, ও গতকাল শুক্রবার বিদ্যালয় মাঠের আরেক পাশে মঞ্চ তৈরি করে। ৯৭ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ টি এম আমিনুল হক বলেন, ১০০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে প্রাক ৯৭ বছর পূর্তি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার করার জন্য আমার কাছ থেকে বিরোধি পক্ষ অনুমতি না নিয়ে মাঠে মঞ্চ তৈরি করেছে। মঞ্চ ভেঙে নেওয়ার জন্য ডেকোরেটরের লোকজনকে বলেছি।
তালোড়া নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ডা. শফিউল করিম তালুকদার বলেন, ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠান ২৫ বছর, ৫০ বছর, ৭৫ বছর, ১০০ বছর পূর্তি পালন করে। ১০০ বছর পূর্তির জন্য আমরা তাঁদেরকে বলেছি। কিন্তু তাঁরা ১০০ বছর পূর্তি না করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমরা ৯৭ বছর পূর্তি উদযাপন করতে দিব না। দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোপাল চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, প্রতিষ্ঠানের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। একই মাঠে কোনো পক্ষকে সভা করতে দিলে হট্টগোল বাঁধবে। কোনো পক্ষই সমঝোতা মানতে চায় না। তাই ইউএনও মহোদয় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য আমাকে নির্দেশপত্র দিয়েছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!