জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট: তদন্ত কর্মকর্তাকে ফের জেরার অনুমতি

ঢাকা প্রতিদিন ::
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তিনটি প্রশ্নে তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরা করতে পারবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নথি খালেদার আইনজীবীদের দেখাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

khaleda-zia20160908122658

 

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন।

 

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন মাহবুবউদ্দিন খোকন ও রাগীব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

 

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, তিনটি বিষয়ে তদন্তে কর্মকর্তাকে জেরা করতে পারবেন খালেদার আইনজীবীরা। বিষয় তিনটি হলো- ট্রাস্ট আইনের ২৩ ধারা অনুসারে ট্রাস্ট বোর্ডের কোনো সম্পত্তির অপব্যবহার হলে বোর্ড অব ট্রাস্টি দায়ী কি না, তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ হলফ করে কী বলেছেন এবং ২০০৫ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে প্রত্যাহারের পর কীভাবে তিনি কার্যক্রম চালাচ্ছেন?

মামলাটির ৩২তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ। এ আদেশের ফলে তাকে ফের জেরা করার সুযোগ পাবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে গত ১৫ মে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরার আবেদন নাকচের বিরুদ্ধে ও মামলার কার্যকক্রম স্থগিত চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা।

বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিয়ে আপত্তি তুলে খালেদার আইনজীবীরা গত ১৭ এপ্রিল নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার আবেদন করলে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার তা নাকচ করে দেন। এই আদেশ বাতিল চেয়ে ১৯ এপ্রিল হাইকোর্টে দুটি আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

 

রিপোর্ট : মোর্শেদ রনি

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!