চুলের শ্যাম্পু ও ডিটারজেন্টের তৈরি দুধ বিক্রি হচ্ছে বাসাবাড়িতে (ভিডিও)

milk-pআরিফুর রহমান : শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট পাউডারের সঙ্গে বিভিন্ন রাসয়নিক মিশিয়ে বানানো হচ্ছে তরল দুধ। ছানার পানিতে রাসায়নিক মিশিয়ে বানানো ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর দুধ তৈরিও বন্ধ হয়নি। ভেজাল সনাক্তকারী যন্ত্র দিয়ে যাতে তা না ধরা যায় সে ব্যাবস্থাও করে নিয়েছে অসাধু ব্যাবসায়ীরা।
আদর্শ খাবার দুধ। পরিবারের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই প্রতিদিন কিনছেন দুধ। কিন্তু কোন দিন কী ভেবে দেখেছেন অনেক ক্ষেত্রেই এসব দুধে কি থাকে?
প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে খোলা ও প্যাকেটজাত দুধে ফরমালিন, চিনি, নদীর পানি, হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের ভয়াবহ এসব মাত্রা।
এ অপরাধের গোড়া কোথায়? অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে রাজধানীর মিডফোর্ড এলাকার রাসয়নিকের দোকান থেকেই এসব ক্ষতিকর সব কামিক্যেল নিয়েই ভেজাল দুধ বানানো হয়।

কি করে বানানো হয় রাসায়নিক দুধ?
মাথার চুল পরিষ্কার করার শ্যাম্পুর সাথে খানিকটা পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয় ফেনা। এরপর খানিকটা সয়াবিন, চিনিসহ আরও কিছু রাসায়নিকের সাথে একটু গুঁড়ো দুধ। তৈরি হয়ে গেল সাদা তরল। এটা জাদু মন্ত্রের কোন বিষয় না, একেবারেই বাস্তব। সাদা এই রাসায়সিক তরলকেই বাজারে বিক্রি করা হবে দুধ হিসাবে। এভাবে ২৫ গ্রাম দুধকে ১০ লিটার দুধ বানানো যায়।
ভেজাল দুধ বানানো এক শ্রমিক বলেন, ‘৫ থেকে ৬ বছর ধরে এইভাবে দুধ বানাইতেছি। এগুলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন কাস্টমার আছে। তারা এখান এসে দুধ নিয়ে যায়। বাসা-বাড়িতে এসব দুধ বিক্রি করা হয়’।
এইসব ভেজাল দুধে একটু এলাচের রস মিশিয়ে দিলে ভেজাল শনাক্তকারী কোন মেশিনে এসব দুধ ভেজাল ধরে পড়ে না। এই দুধ গরম করলে যাতে ফেনা হয় সেজন্য মেশানো হয় আরেক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য।

এই যখন অবস্থা তখন কি করবে ভোক্তারা? ঠিক-বেঠিকের পার্থক্য করে দেয়ার দায়িত্ব যাদের তারাই বা কি করছেন?
ভোক্তা অধিকার ফোরামের চেয়ারম্যান ধীরাজ কুমার নাথ বলেন, ‘সরকারের একটা অধিদপ্তর আছে যারা এই দোকান ও ছোট কারখানে অনুমোদন দিয়ে থাকে। তাদের অনুমতি না নিয়ে এগুলো কি করে শুরু হল। অবশ্যই এখানে সরকারের গাফিলতি আছে। এ সমস্ত লোকদের সাথে তাদের যোগাযোগ আছে’।
যমুনা টিভি থেকে নেয়া

https://www.youtube.com/watch?v=bG8ddRkEdVI

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!