চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, শুধু বাংলাদেশ নয়,পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, বিহার ও আসামেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয় বলে জানা গেছে।
এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো মিয়ানমারের উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় শহর চক থেকে ২৪ কিলোমিটার পশ্চিমে ভূমি থেকে ৫২ মাইল গভীরে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে ভুকম্পনের সময় আতঙ্কিত হয়ে লোকজন ভবনের বাইরে এসে অবস্থান নেন। ভবনগুলো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলে আতঙ্ক তৈরি হয়। এসময় যে যার সুবিধামত খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিতে হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে দেশের কোথাও ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না সে তথ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে বিহার, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, রাঁচিসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিলো উত্তর-মধ্য মায়ানমারের বন্দরনগরী চক এলাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে মাটির ৮৪.১ কিলোমিটার গভীরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ মাত্রাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও এর চাইতেও আরো বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::