কাপাসিয়ায় যুবলীগ নেতার চাঁদা দাবী, উন্নয়ন কাজে বাধা মহিলা মেম্বার লাঞ্চিতের অভিযোগ

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের একটি ইটের রাস্তার কাজে চাঁদার দাবীতে বাধা প্রদান এবং মহিলা মেম্বার জাহানারাকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় যুবলীগ নেতা কাজল মৃধাকে থানা পুলিশ ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের চাঁন মিয়া মেম্বারের বাড়ি হতে দরগা বাজার পর্যন্ত রাস্তায় ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি প্রকল্পের অধিনে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যথারিতি চাঁন মিয়া মেম্বার ও মহিলা মেম্বার জাহানারা বেগম এলাকাবাসির সহযোগিতায় কাজ শুরু করে। ২ এপ্রিল দুপুরে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমীন শেখ, ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাজাহান, যুবলীগ নেতা কাজল মৃধা, মতিউর, মাহবুব, সোহেল কাজে বাধা দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। এ সময় মেম্বার গন চাঁদা দিতে অস্বিকার করায় বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে যুবলীগ সন্ত্রাসীরা মহিলা মেম্বার জাহানারা বেগমকে শাজাহান গলা টিপে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন। কাজে বাধা দেয়ার খবর পেয়ে উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা মহিলা ফোরামের সভাপতি  কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার কানিজ ফাতেমা রুহিতা ঘটনা স্থলে যান। চাঁদার দাবীতে কাজে বাধা দেয়ার ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করে নিজ দলের কর্মীদের কাছেই তিনি লাঞ্চিত হয়েছেন বলে জানা যায়। ঘটনাটি স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমিকে জানানো হলে রাতেই ঘটনার সাথে জড়িত এক চাঁদাবাজ কাজল মৃধাকে থানা পুলিশ আটক করে। চাঁদাবাজির ঘটনাটি এমপির নিজ ইউনিয়ন হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে প্রকল্প কমিটির সভাপতি জাহানারা মেম্বার ও সদস্য চাঁন মিয়া মেম্বার ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে জানান, প্রকল্প অনুমোদনের পর রাস্তায় ইটের কাজ শুরু করলে যুবলীগ নেতা আল আমীনের নেতৃত্বে কাজল মৃধা সহ ৫/৭ জন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দিলে কাজ করতে দেয়া হবে না বলেও হুমকী দিয়ে আসছিল। এমনকি তাদের জীবনে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া জানান, রাস্তার কাজে চাঁদা দাবী ও বাধা দেয়ার ঘটনাটি এমপিকে জানানো হলে রাতে পুলিশ কাজল মৃধাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মহিলা ফোরাম ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মেম্বার কানিজ ফাতেমা রুহিতা ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, রাস্তার উন্নয়ন কাজের ২ হাজার ইট চাঁদাবাজরা নিয়ে যায়। তারা মহিলা মেম্বার জাহানারাকে লাঞ্চিত ও শ্লীলতাহানীর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং সমাধানের চেষ্টা করি।
রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা প্রবীন নেতা  আব্দুল হাই সাংবাদিকদের সাথে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয় আমাকে রাস্তার কাজে বাধা দেয়ার ঘটনাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিদের্শ দিয়েছেন। আগামী কাল শনিবার আমি স্বশরীরে ঘটনা স্থলে যাব এবং এলঅকার লোকজনের সাথে কথা বলবো। এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে বরাদ্দ নিয়ে আতœসাৎ করা এবং ব্যাপক ভাবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, লুটপাট, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসি জানান। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!