কলাপাড়ায় আলৌকিকভাবে একই পরিবারের পাচঁটি ভূমি বন্দোবস্ত !!

মো:জাহিদুল ইসলাম রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সংশ্লিষ্ট ভূমি প্রশাসনের নিদ্রামগ্ন দুর্নীতিবাজ কর্তা ব্যাক্তিদের যোগসাযোশে একই পরিবারে পাচঁটি ভূমি বন্দোবস্ত প্রদানের আলৌকিক চাঞ্চ্যলকর অভিযোগ মিলেছে। কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মেলাপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর পুত্র ভূমিদস্যু আ:গনি হাওলাদার তার পিতার নামে ৩৪৯ কে/৭৩-৭৪, ৫৭৫ কে/৮৯-৯০ সালে একই ব্যক্তির নামে ১নং খাস খতিয়ানের ভূ-সম্পত্তির দু’টি বন্দোবস্ত হয় আলৌকিকভাবেই।বন্দোবস্ত প্রাপ্ত দুই একর জমি প্রদান করা হয়। ওই বন্দোবস্ত নেয়া জমি থেকে বর্তমান বাজার মূল্যে এক একর ২০ শতাংশ সম্পত্তি দুলাল বলি গং এর কাছে অবৈধভাবে হস্তান্তর পূর্বক বিক্রি করে দেয়। ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর মাধম্যে মোটা অংকের নির্ধারিত অংকের অর্থ সখ্যতার বদৌলতে ওই একই ব্যক্তির পুনরায়  হোসেন আলীর নামে এক একর ৫০ শতাংশ জমির বন্দোবস্ত সহ আরো একটি আলাদা বন্দোবস্ত সৃষ্টি করে একই পরিবার ভিত্তিহীন বানোয়াট তথ্য প্রদান করে ভুমিদস্যু আ: গনি হাওলাদার তার পিতা হোসেন আলীর নামে দুটি, নিজের নামে একটি, ছেলে টুকুর নামে একটি, স্বামী জীবিত থাকলেও তাকে মৃত দেখিয়ে বিধবা পরিচয়ে মেয়ে পাখি বেগমের নামে একটি সহ এই পরিবার ভূমিহীন পরিচয়ে পাচঁটি নামে ৬ একর জমি বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করে রেখেছে।
বিপত্তি ঘটেছে আরেক ভূমিহীন ছাহেদ আলী মাঝির বন্দোবস্ত নেয়া জমির একাধিক ব্যাক্তির নামে আলৌকিক বন্দোবস্ত থাকায় তার জমির দখল এখনও পায়নি বলে। ভূমিহীনের নামে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভূ-সম্পত্তির অনিয়ম প্রতিরোধে এবং ৫৯৯ কে/৮৯-৯০, ১২৩ কে/১০-১১, ৫৭৫ কে/৮৯-৯০ নং বন্দোবস্ত বাতিলের দাবী করে ছাহেদ আলী ও মনোয়ারা বেগম আবেদন করেছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবরে। বন্দোবস্ত নীতিমালা লংগন করে দূর্নীতিবাজ ভুমি কর্তারা একই পরিবারে পাচঁটি ভুমি বন্দোবস্ত দিয়ে চাঞ্চল্যেও জন্ম দিয়েছে এমন অভিমত প্রকৃত ভূমিহীনদের।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!