আমাদের নির্বাচণে ট্যাংক বানানো লাগবে: সিইসি

 

পার্শ্ববর্তী দেশের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন শক্তভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারলে আমাদের নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতা কোন জায়গায় এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন,  নির্বাচনে সহিংসতা উপমহাদেশের সংস্কৃতি। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে প্রচুর সহিংসতা হয়েছে, সহিংসা হয়নি এটা বলা যাবেনা। আমাদের দেশে অতীতেও প্রচুর সংঘাত হয়েছে।

 

নির্বাচনে কম আর বেশি সংঘাত হয়েছে তা পরিসংখ্যান দিয়ে সবসময় বলা সম্ভব হয়না। এ স্IMG_1414থানীয় নির্বাচনগুলো এতো ক্লোজ দি ফর যে এক ভোটের এদিক ওদিক হলে একজন আরেকজনের মাথায় আঘাত করতে চায়।

 

 

অতচ বিদেশে কিন্তু আমরা এসব দেখি না। সেখানে নির্বাচন কেন্দ্র দেখিয়ে দিতে হয়তো একজন ট্রাফিক পুলিশ আছে। আর্মস (অস্ত্রধারী) পুলিশ ব্যাটালিয়ন থাকে না। কিন্তু আমরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাই না। আমাদের তো মনে হচ্ছে যে নির্বাচন করার জন্য এবার ট্যাংক বানানো লাগবে!’

 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর IMG_1396ইউনিট প্রধানদের সঙ্গে রুদ্ধদার বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

 

 

নির্বাচনে অংশগ্রহণ কারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, লোকের মাথায় লাঠি মেরে নয়, আইনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবেন। আমি চাইব যে জনগণের রায়কে শ্রদ্ধা করে নির্বাচন করছেন। জনগণ যাকে ভোট দিবে সেটাবে মেনে নিবেন। যোগ্য প্রার্থীকে জনগণ নির্বাচিত করবে, সেই হবে চেয়ারম্যান।

 

গত চার ধাপের নির্বাচনের সহিংসাকে এড়িয়ে গিয়ে সিইসি বলেন, ‘আজকের মিডিয়া কিন্তু অত্যন্ত সবল এবং আপনাদের উপস্থিতি সব জায়গাতে। নির্বাচনের অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত আপনারা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকেন। আপনারা ভোট কেন্দ্রের বাহিরের ছবি, ভেতরর ছবি, লাইনের ছবি এবং ভোট কিভাবে দেয়া  হচ্ছেএগুলোর ছবি সারা দেশবাসীকে দেখান এবং সেখান থেকে টিভির প্রতিবেদকরাই আসল ঘটনা বলেন। প্রচুর জায়গাতে বা বেশিরভাগ জায়গাতে সুষ্ঠু দীর্ঘ লাইন দিয়ে মহিলারা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন, বৃদ্ধরা ভোট দিচ্ছেন এ দৃশ্য আপনারাই দেখিয়েছেন।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘তারপরও অবশ্যই বেশ কিছু কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা, বেআইনী কাজ ইত্যাদি ঘটেছে এবং সেগুলোও আপনারা টিভিতে দেখিয়েছেন। এ যে এ দুই চারটি ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।এ থেকে সবার মনে ধারণা হয়, বোধহয় সব জায়গাতেই খারাপ নির্বাচন হচ্ছে। আসলে আপনাদের প্রচারিত নির্বাচনের ভিডিওগুলো যদি নিরপেক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করেনIMG_1403 তাহলে কিন্তু উত্তরটা আপনারা সহজে পাবেন। আমিও আশাকরি দেশবাসীও এ উত্তরটা ভালোভাবেই পাচ্ছে।’

 

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের পরবর্তী ধাপে রাতে ভোটকেন্দ্র দখলের মতো বিশ্রী ব্যাপার কমে এসেছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপে একটিও হয়নি। চতুর্থ ধাপে আবার দু-একটি ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনে আশাবাদী যে আগের চেয়েও সামনের নির্বাচন আরও ভালো ও সুষ্ঠুভাবে করতে পারব।’

 

সভায় সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন, ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল বাতেন, খোরশেদ আলম, কোস্টগার্ডের কমান্ডার ফয়েজ উদ্দিন, বিজিবির লে. কর্নেল ইকরাম, লে. কর্নেল ইমারতসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

রিপোর্ট : আমিনুল শাহীন ও জাহাঙ্গীর শুভ

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

 

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!