আপন জুয়েলার্সের সাড়ে ১৩ মণ সোনা জব্দ

আপন জুয়েলার্সের সাড়ে ১৩ মণ সোনা জব্দ 1ঢাকা প্রতিনিধি : আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখা থেকে সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা আনুষ্ঠানিক জব্দ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।

এরই মধ্যে গুলশানের ডিসিসি মার্কেট ও মৌচাক শাখার সোনা জব্দের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এসব সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দার পৃথক দুটি দল। শুল্ক গোয়েন্দার একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, ইতিমধ্যে রাজধানীর শুলশানের ডিসিসি মার্কেট থেকে ৯০ কেজি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ শেষে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। জমা দেওয়া হযেছে মৌচাক মার্কেটের আপন জুয়েলার্সের জব্দকৃত অলঙ্কারও। অন্যদিকে গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা ও সীমান্ত স্কয়ার শাখার জব্দ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। কিছুক্ষণের মধ্যে শুল্ক গোয়েন্দার তিনটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্দেশে রওনা হবে।

আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ সোনার কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুল্ক গোয়েন্দার পাঁচটি দল এসব সোনা জব্দের কাজ শুরু করে। এ সময় সংশ্লিষ্ট পক্ষ উপস্থিত ছিল। জব্দ শেষে সব অলঙ্কার বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থানান্তর হবে।

এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, আপন জুয়েলার্স সাড়ে ১৩ মণ সোনার কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় শুল্ক গোয়েন্দা অনুষ্ঠানিকভাবে তা জব্দের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়ায় জব্দ করা সোনা ও হীরা শুল্ক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে।

এর আগে গত ১৭ মে ও ৩০ মে আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই গোলজার আহমেদ, দিলদার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুল্ক গোয়েন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে জব্দ করা সোনার অনুকূলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দলিলাদি দেখাতে পারেননি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। এরপর তারা নথিপত্র উপস্থাপনে সময় চায়।

আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে তিন বার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় শুল্ক গোয়েন্দা আর সময় না দিয়ে জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা ব্যাখ্যাহীনভাবে সাময়িকভাবে আটক করে। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেওয়া হয়।

তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের দেওয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২ দশমিক ৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, গত ২৮ মার্চ দ্য রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ। ৬ মে রাতে ভুক্তভোগীদের একজন বনানী থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপরই শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সে অবৈধ অলঙ্কার জব্দ করতে অভিযানে নামে।

 

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!