অপরাধী প্রার্থীদের তালিকা যাচ্ছে ইসিতে

ec-1427807383

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন নেওয়া অপরাধী প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই তালিকা মঙ্গলবার রাতেই ইসির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

 

মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম।

 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইসির আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধের মামলা মূলতবি রয়েছে কি না, তা আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হবে।’

 

বুধবার থেকে প্রার্থিতা যাচাই-বাচাই করা হবে। সে সময়ও ডিএমপির একাধিক প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত থাকবেন। তাদের কাছে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা মামলা মোকাদ্দমার হিসাব থাকবে।

 

প্রার্থীরা যেসব ডকুমেন্ট সেখানে উত্থাপন করবেন তা তদারক করবেন ডিএমপির প্রতিনিধিরা।

 

তিনি বলেন, ‘যেহেতু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় এই নির্বাচন ন্যস্ত হয়েছে, সেহেতু নির্বাচন কমিশনের চাহিত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করার যে প্রক্রিয়া, তা শুরু করেছি। ইসি যে ধরনের সহযোগিতা চায় তা ডিএমপির পক্ষ থেকে করা হবে। আর আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য যারা অস্ত্রধারী রয়েছেন, চাঁদাবাজ রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা রয়েছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আর যারা বিভিন্ন মামলায় জামিনে রয়েছেন তাদের আমরা পর্যবেক্ষণে রাখব। যাতে তারা কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে না পারেন, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

কতজনের তালিকা পাঠানো হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি বলা মুশকিল। তবে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে যারা মনোনয়ন নিয়েছেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ৩০ থেকে ৩৫টি করে মামলা রয়েছে।

 

অনেকের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, জেল থেকে বা আত্মগোপনে থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন নির্বাচন করার জন্য, তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ ডিএমপি নেবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি অপরাধে যারা অভিযুক্ত ও পলাতক রয়েছেন কিংবা যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কেউ যদি গুপ্তস্থান বা আত্মগোপনে থেকে অথবা জেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সে ক্ষেত্রে যদি নির্বাচন কমিশনের কোনো বিধিনিষেধ না থাকে, তাহলে পুলিশের সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই। তবে ফৌজদারি অপরাধে অপরাধী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!