বাংলাদেশিরা যাতে গরুর মাংস খাওয়া ত্যাগ করেন, সেজন্য গরু চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ জোয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।
ভারত থেকে গরু না গেলে বাংলাদেশিরা মাংস খেতে পাবে না এবং এক সময় তারা এমনিতেই মাংস খাওয়া ছেড়ে দেবে- এমন ধারণা থেকেই ভারত এ নির্দেশ দিয়েছে।
পুরো ভারতে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করতে ভারত সরকার জনসংযোগ শুরু করেছে। আর এর একদিন পর বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সীমান্ত দিয়ে ওপারে যাতে গরু না যেতে পারে সেজন্য বিএসএফ সদস্যদের সদা প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। এবং গরু চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে অতিরিক্ত জোয়ান নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার আগরতলা সীমান্তে বিএসএফ জোয়ানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওই নির্দেশ দেন রাজনাথ সিং।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তে গরু চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর টহলব্যবস্থা জোরদার করার পর সম্প্রতি বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম ৩০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সীমান্তে এ রকম টহল আরো বাড়ানো হলে গরু চোরাচালান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে যাবে। ফলে দেশটির অধিকাংশ জনগণ গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেবে।’
ভারতের সরকারি পরিসংখ্যান মতে, ২০১৪ সাল থেকে ১৭ লাখ গরু ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে গেছে।
এর আগে রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনডিএ জোট সরকার সারা দেশে গরু জবাই বন্ধ ও এর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেছিলেন, গরু জবাই এ দেশে বরদাশত করা হবে না। এটা বন্ধে আইন করা হচ্ছে।
তবে ওই সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে আরো শক্তিশালী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।
রাজনাথ সিং বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গে আমরা আরো ভালো ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।’
সম্প্রতি গরু চোরাচালানকারীর হাতে বিএসএফ জোয়ানের আক্রান্তের ঘটনা উল্লেখ করে- এ রকম হামলা মোকাবিলা ও গরু চোরাচালান ঠেকাতে দক্ষিণ বেঙ্গল সীমান্তে আরো সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেন তিনি।
হিন্দু সম্প্রদায় গরুকে ‘মা’ মনে করে। তাই এ প্রাণীকে হত্যা করা তারা ‘পাপ’ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।