সীতাকুন্ডে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত সলিমপুর সমুদ্র সৈকত

শেখ সালাউদ্দীন, সীতাকুন্ড প্রতিনিধি :
সীতাকুন্ডে মৌসুম ছাড়াও পর্যটকদের পদভারে মুখরিত এখন সলিমপুর সমুদ্র সৈকত। তবে বিপুল পরিমান সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এখনো এটি বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেনি বিনোদন কেন্দ্র। ফলে সরকার একদিকে যেমন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরূপ লীলাভূমি  সমুদ্র সৈকতটি দেশ-বিদেশে পরিচিতি হওয়া থেকেও অনেকটা বঞ্চিত হচ্ছে।

sitakund-przoton-pic-2

তবে এই অঞ্চলের অন্যান্য পর্যটন স্থানগুলোতে পর্যটকদের আগমন ঘটলেও এরই মধ্যে সব চেয়ে বেশি পর্যকটদের আগমন ঘটছে সলিমপুর সমুদ্র সৈকতে। এ আকর্ষনীয় সমুদ্র সৈকতে লোক মুখে শুনে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত ভ্রমন প্রেমিদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে সলিমপুর সমুদ্র সৈকত। এছাড়া সৈকত ভ্রমনের পাশাপাশি ইকো-পার্ক বোটনিক্যাল গার্ডেন ভ্রমন ও আনন্দের নতুন মাত্রা যোগ করে।

 

উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের খেলা উড়োন্ত পাখিদের কলতান সমুদ্রের হিমেল হাওয়া সবমিলে মনকে একবার হলেও দোলা দেবে। এছাড়াও পূর্বে সুউচ্ছ পাহাড় ও পশ্চিমে হাতিয়া সন্দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৈকতকে আরো আর্কষনীয় করে তোলে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষগুলো সুউচ্ছ পাহাড় এবং সাগরের হাতছানিতে মুগ্ধ হয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভ্রমন প্রেমিদের সলিমপুর সমুদ্র সৈকতে সব চেয়ে বেশি পর্যটকদের ভীর লক্ষ্য করা গেছে।

 

সুযোগ পেলেই সমুদ্র সৈকতে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে অতিকাছ থেকে নিবিড় ভাবে সূর্যাস্তের জীবন্ত চিত্র উপভোগ করার জন্য ছুটে আসেন ভ্রমন প্রিয়সিরা। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে পরিবার নিয়ে সৈকতে বেড়াতে আসা দর্শনার্থী  নাছিমা বেগম বলেন, চট্টগ্রাম শহর থেকে খুবই কাছে এবং সুন্দর সলিমপুর সমুদ্র সৈকত।

 

তিনি আরো কয়েক বার এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসে ছিলেন। সুযোগ পেলেই এখানে আসেন। তিনি বলেন, বিপুল পরিমান সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এটি পরিকল্পিত ভাবে গড়ে  উঠেনি এখনো। সৈকতে কাদা মাটি উপেক্ষাকরে একটু সমুদ্রের ছোঁয়া নিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষার্থীরা এবং ভ্রমন বিলাসী প্রকৃতি প্রেমিদের মৌসুম ছাড়াই এখানে আগমন ঘটে।

sitakund-przoton-pic-1

অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা শ্যামল দাশ ও মোঃ ইসমাই হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে অবস্থিত সমুদ্র সৈকতটি আসলেই খুব সুন্দর। এখানে এমন একটি সমুদ্র সৈকত রয়েছে তা অনেকেরই হয়তো অজানা। তবে সৈকতে শতশত পর্যটক দেখা গেলেও সে হারে তেমন দোকান পাট গড়ে উঠেনি এখনো। সন্ধ্যার আগেই সমুদ্র থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে হয় পর্যটকদের। কারণ সমুদ্র সৈকতে বাতির ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের ছিনতাইসহ বিভিন্ন সমস্যায় পরতে হয়েছে একাধিকবার।

 

 

সরেজমিনে সলিমপুর নিউ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা গেছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না থাকায় দোকান পাটও তেমন গড়ে উঠেনি এখানে। এছাড়া প্রচারের অভাবে এই অবহেলিত সমুদ্র সৈকতটি তেমন করে পিকনিক স্পট হিসেবেও পরিচিতি লাভ করতে পারেনি।

 

তবে পর্যটকরা এ সমুদ্র সৈকত দর্শন করার জন্য ছুটে আসেন প্রতিদিন দলে দলে। তাই সরকার সলিমপুর সমুদ্র সৈকত উন্নয়নে সঠিক সিন্ধান্ত গ্রহন করলে অচিরে অপরূপ লীলাভূমি  সমুদ্র সৈকতটি দেশ-বিদেশে পরিচিতি লাভ করবে।

 

অন্যদিকে প্রতিবছর এ খাত থেকে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করতে পারবেন বলে আশা করছেন অনেকে।

 

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!