‘বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন’ এর আত্মপ্রকাশ

‘বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন’ এর আত্মপ্রকাশ 1বিনোদন প্রতিদিন : ২৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হলো একটি ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ। নাম তার ‘বাঙালি সাংস্কৃতিক বন্ধন’। সভাপতি হিসেবে যার নেতৃত্বে আছেন চিত্রনায়ক ফারুক।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সাংস্কৃতিক মঞ্চের ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (চিত্রনায়ক ফারুক) বলেন, ‘আমরা দেখেছি পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই মূলত বাঙালি সংস্কৃতি দাবিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে। একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে দেশটি পেলাম, স্বভাবতই আশা করেছিলাম আমাদের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে বাধাহীনভাবে। কিন্তু ৭১’র পরাজিত শক্তি, পাকিস্তান ও তার আন্তর্জাতিক মিত্ররাসহ এদেশীয় একশ্রেণির পাকিস্তানপ্রেমী কুলাঙ্গাররা যেমন স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি, তেমনি মেনে নেয়নি বাঙালির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও।’

নায়ক ফারুক আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কৃতিকে আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া শুরু হয়। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেন বলেই, বাঙালি সংস্কৃতিকে লালন করেন বলেই, এই স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ফারুক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করার যে চেষ্টা করা হয়েছে, এটি আমরা আর হতে দেবো না। এখন আমরা আরও সংঘবদ্ধ। এই সংগঠন নির্বাচনী কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নাট্যব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক বলেন, ‘আমরা শিল্পবান্ধব সরকার চাই, বর্তমান সরকার শিল্পবান্ধব সরকার। এই সরকারকে আমরা আবারও চাই।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কাজী রোজী, কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, সংগীতশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, মনোরঞ্জন ঘোষাল, শেখ সাদী খান, বাউল শফি মণ্ডল, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!