লামায় উৎসাহ উদ্দীপনায় সাংগ্রাই উৎসব সম্পন্ন

বান্দরবানে লামা উপজেলায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী মারমা সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই পোয়ে বা জলকেলী উৎসব।

 

পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত সাংগ্রাই পোয়ে উৎসবে উপজেলা বিভিন্ন পল্লী থেকে তরুণ-তরুণীরা মন্ডপে এসে একে অপরের প্রতি মঙ্গলজ্বল ছিটিয়ে রাখাইন অব্দ (মগী সন) ১৩৭৭ কে বিদায় এবং নতুন অব্দ ১৩৭৮ কে বরণ করে নিতেই মারমা সম্প্রদায়রা এ উৎসব পালন করে। সুসজ্জিত মাঠে মাঝখানে দুই সারিতে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একদল তরুণ-তরুণী সামনে রাখা ড্রামে পানি থেকে তাঁরা পরস্পরের দিকে পানি ছিটানো শুরু করতেই আয়োজনে শামিল হন মাঠে থাকার দর্শক সবাই।

 
সোমবার দুপুরে লামা পৌরশহর পালিটুল ছাত্রাবাস প্রাঙ্গনের মহা সাংগ্রাই পোঃওয়ে আহব্বায়ক ক্যজ মার্মা সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জলকেলী উৎসব উদ্বোধন করেন লামা পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ছোট নুনারবিল পাড়া কারবারী মংয়েনু মারমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাফর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য মো. মোস্তফা জামাল, লামা থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল, লামা মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক অথিং রাখাইন এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ এর ত্রাণ ও সমাজ কল্যেণ সম্পাদক থুইনিমং মার্মা প্রমুখ।

 
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, সাংগ্রাই পোঃওয়ে (জলকেলী উৎসব) এটি একটি সামাজিক উৎসব। সারা বছর ধরে মার্মা সম্প্রদায়রা এই দিনটি অপেক্ষায় থাকে। মৈত্রী জলকেলী উৎসবের মাধ্যমে মারমা সম্প্রদায় পুরোনো বছরের দুঃখ-গ্লানি, ব্যর্থতা মুছে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে থাকি।
আনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে নানান ধরনের সাজানো ম-পে ফিতা কেটে মৈত্রী জল ছিটিয়ে উৎসবটি উদ্বোধন করেন উদ্বোধক লামা পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম।

 

লামা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার সাংগ্রাই উদ্যাপন কমিটির আহাব্বায়ক ক্যজ মারমা বলেন, আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে উপজেলা বিভিন্ন পাড়া ও পল্লী থেকে মারমা তরুণ-তরুণীরা জলকেলী উৎসবের যোগ দিয়েছে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সম্প্রীতির বন্ধনে জড়িয়ে সকল ধর্মে মানুষেরা যাতে এক হৃদয়ে থাকতে পারে এ লক্ষ্যে এই মৈত্রী জলকেলী উৎসব পালন করি। লামা মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক অথিং রাখাইন বলেন, জল উৎসব এখন সর্বজনীন উৎসবের রূপ লাভ করেছে। শুধু মারমা বা রাখাইন সম্প্রদায় নয়, সব আদিবাসী সম্প্রদায় এবং বাঙ্গালিরাও উৎসবে যোগ দিয়েছেন।

 

রিপোর্ট ::: রফিক সরকার, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::…..

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!