২২ কেজি টিউমারের যন্ত্রণা থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর পর মুক্তি পেয়েছে নুর হোসেন প্রকাশ নুর পাগলা। ২২ কেজি টিউমার নিয়ে টেকনাফের পথেঘাটে ঘুরতো তিনি। পুরো নাম নুর হোসেন। এ বিশালাকার টিউমার নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর যন্ত্রণা সইতে হয়েছে তাকে। তবে এক মানবতাবাদী মানুষের সহযোগিতায় ৩০ বছরের এই নিদারুণ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছে নুর পাগলা। টেকনাফের তরুণ পর্যটন উদ্যোক্তা বদরুল হাসান মিলকি অর্থায়নের নুর পাগলার টিউমার অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার (৯ মার্চ) ডুলাহাজারা মালুমঘাট নিউ হাসপাতালে ডা. কেলি নুর পাগলার এ ২২ কেজি ওজনের টিউমার অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করেন। নুর পাগলাকে নতুন জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন বদরুল হাসান মিলকি। তাকে নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে তার ভূঁয়সী করা হচ্ছে।
সর্বমহল বদরুল হাসান মিলকিকে মানবতাবাদী আখ্যা দিয়ে ‘স্যালিউট’ জাানচ্ছে।
মিলকি জানান, কয়েকদিন আগে তিনি টেকনাফে গেলে নুর পাগলা তার চোখে পড়ে। তার চোখ থেকে গায়ে সামনের বিশাল অংশ জুড়ে ঝুলছে বিশাল মাংশপিণ্ড। এটা দেকে থ’ হয়ে যান বদরুল হাসান মিলকি। তিনি ওই পাগলের কাছে যান। তাকে ডেকে কাছে নেন। উপস্থিত লোকজন থেকে জানতে পারলেন তার নাম নুর হোসাইন। দীর্ঘদিন ধরে পাগল জীবন কাটাচ্ছে। সাথে টিউমার। দীর্ঘ ৩০ বছর আগে নূর পাগলার এই টিউমার সৃষ্টি হয়। এটি ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে বিশালাকার ধারণ করে। এটি নিয়ে প্রতিনিয়ত যন্ত্রণা কাতরায় এই নূর পাগলা। এ কথা শুনে নুর পাগলার প্রতি মায়া জমে উঠে বদরুল হাসান মিলকির। তিনি নুর পাগলার চিকিৎসা করতে মনস্থির করেন। সে মতে নূর পাগলাকে কক্সবাজার নিয়ে আসেন। নুর পাগলাকে কক্সবাজার এনে ভালো করে গোসল করানো হয়। তারপর ডুলাহাজারা মালুমঘাট নিউ হাসপাতালের পূর্বপরিচিত ডা. কেলি কাছে নিয়ে যান। তিনি পরীক্ষা করে দেখলেন ওই টিউমারের ওজন ২২ কেজির বেশি হয়েছে। তবে অপারেশনের মাধ্যমে বিশালাকার টিউমারটি অপসারণ করা যাবে আশ্বস্থ করেন ডা. কেলি। তবে খরচ হবে দুই লাখ টাকা!
নিজ থেকে দুই লাখ টাকা দিয়ে নুর পাগলার এই টিউমার অপসারণের উদ্যোগ নেন মানবতাবাদী মানুষ মিলকি। সব প্রস্ততি সম্পন্ন করে সোমবার ৯ মার্চ সকালে নুর পাগলার ২২ কেজি ওজনের এই টিউমার অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
এএইচ