‘আমরা বাবরের লোক’- মুজিববর্ষের নামে চাঁদা নিয়ে ধরা ৩ নেশাখোর

তারা তিনজনই পেশাদার মাদকসেবী। নেশার টাকা জোগাতে মুজিব বর্ষের নাম দিয়ে সংগঠনের ব্যানারে নির্বিচারে চালায় চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজিকালে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরীর লোক বলে পরিচয় দিতেন। ৩ জনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এইসব তথ্য।

শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ। শুক্রবার রাতে নন্দনকানন ও আগ্রাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- কোতোয়ালী থানার নন্দনকানন দুই নম্বর গলির এলাকার বাসিন্দা শেখ রিয়াজ আহম্মেদ প্রকাশ রাজু (৪০), একই থানার হেমস্যান লেইনের বাসিন্দা শাহজাহান (৪৫) ও নন্দনকানন তিন নম্বর গলির বাটুল বড়ুয়া প্রকাশ ডানো (৩৮)। এদের মধ্যে বাটুল বড়ুয়া নিজেকে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি বলে জানিয়েছেন পুলিশকে।

এ বিষয়ে এডিসি শাহ মো. আবদুর রউফ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনই প্রফেশনাল মাদকসেবী। হেলাল আকবর চৌধুরী বেশকিছুদিন ধরে দেশেও নেই। নেশার টাকা জোগাতে মুজিব বর্ষের নামে একতা যুব সংঘ ও স্বপ্ন চূড়া নামীয় দুটি সংগঠনের ব্যানার ও হেলাল আকবর চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট ব্যবসায়ী কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে।

জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির খবর পেয়ে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ মোতাবেক এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়। গত ৪ মার্চ নন্দনকানন এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।

বিষয়টি জানার পর পুলিশ ফাঁদ বসায়। শুক্রবার রাতে নন্দনকানন এলাকায় ‘থ্রিএ হোম স্কেচ’ নামের প্রতিষ্ঠানের সামনে টাকা নিতে আসলে সেখান থেকে রাজু ও শাহজাহানকে গ্রেপ্তার আটক করে পুলিশ। পরে আগ্রাবাদ এলাকা থেকে বাটুল বড়ুয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এদের চাঁদার পরিমাণ ছিল সর্বনিম্ন ৫শ ও সর্বোচ্চ ১৫-২০ হাজার টাকা। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই সদস্য লিটন ও চান্দু ওরফে রনিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন সহ বেশ কয়েকজন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মুআ/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!