সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১৩, বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা

সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের অদূরে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৬৩ জনকে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ১৩ জনের লাশ ও ৬৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা যায়, ট্রলার ডুবিতে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা। তাদেরকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল মালেক জানান, এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে। জীবিত উদ্ধারকারীদের বিভিন্ন সহযোগিতা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে সাধ্যমত সবাই।

জানা যায়, গতকাল রাতে টেকনাফ উপকূল দিয়ে দুটি ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে সাগরের পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার হওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে বের হয়ে তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ট্রলার ডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এসএইচ