বায়েজীদে গার্মেন্টসে তৈরি চার সহস্রাধিক জ্যাকেটসহ ছয়জন গ্রেফতার

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৪ হাজার ৩২০ পিস গার্মেন্টসের তৈরি জ্যাকেটসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে বারোটায় চট্টগ্রামের বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন আমিন জুট মিলস উত্তর গেইট দুই নম্বর গলি মৃধাপাড়া এলাকার হক ফুড এজেন্সি নামের পরিত্যক্ত গোডাউন ঘরে এ অভিযান চলে।

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন আমিন জুট মিল্স উত্তর গেইট দুই নম্বর গলি মৃধাপাড়া এলাকার হক ফুড এজেন্সি নামের পরিত্যক্ত গোডাউন ঘরের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার ৩২০ পিস গার্মেন্টসে তৈরিকৃত জ্যাকেটসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়,আটককৃতরা হলেন, মো. সাহাদাত হোসেন (২৮)। তিনি চট্টগ্রামের ইপিজেড লেবার কলোনির মো. শাহজাহানের ছেলে। মো.ওবায়দুল হক (৩৭। তিনি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার মৃত শামছুদ্দীন আহমেদের ছেলে। মো. সোহাগ হোসেন (৩২)। তিনি মাদারীপুর জেলার সদরের আব্দুর রহমান সর্দারের ছেলে। মো. সিরাজ মিয়া (২৮)। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার এজাহার মিয়ার ছেলে।ড্রাইভার রুবেল হোসেন (২২)। তিনি ভোলা জেলার লালমোহন থানার মো. মোজাম্মেল হকের ছেলে। মো.সুমন (৩০)। তিনি বরিশাল জেলার মেহেদীগঞ্জ থানার শাহজাহান ডাক্তারের ছেলে।

বর্তমানে তারা সবাই নগরীর বায়েজিদ, ডবলমুরিং বন্দর ও ইপিজেড থানা এলাকার বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে গার্মেন্টসের মালামাল অবৈধভাবে পাচার করে আসছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানায়, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে গার্মেন্টসের তৈরিকৃত পোশাক বিদেশে শিপমেন্ট করার পূর্বে কার্টুন হতে তৈরি পোশাক বের করে সেখানে জুট দিয়ে পুনরায় কার্টুন প্যাকিং করে যথাস্থানে পৌঁছে দেয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাই মালামাল পরিত্যক্ত একটি গোডাউনে রাখা হয়েছে খবরে অভিযান চালিয়ে মালামালসহ এ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বায়োজিদ বোস্তামী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এইচটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!