চকরিয়ায় চিংড়ি ঘেরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবককে গুলি করে হত্যা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিংড়ি ঘেরের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আবদুল হামিদ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। নিহত আবদুল হামিদ চরণদ্বীপ এলাকার আহমদ হোসেনের ছেলে।

ঘটনার পর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় চিংড়ি ঘেরের আধিপত্য নিয়ে আবদুস সালাম ও বাহাদুর গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি হয়। কিন্তু বুধবারের এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। এর জেরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবদুস সালাম গ্রুপের ১০-১২ জন স্বশস্ত্র লোক বাহাদুর গ্রুপের সদস্য আবদুল হামিদের ঘরে ঢুকে গুলি করে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।

নিহত আবদুল হামিদের স্ত্রী জোহরা বেগম বলেন, আমার স্বামী কোনো দলের সাথে জড়িত নয়। সে কাঁকড়া ব্যবসা করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করতেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার স্বামী চিংড়ি ঘের থেকে ঘরে আসার পরপরই সালাম বাহিনীর প্রধান আবদুস সালাম ও এমরানের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী ঘরে ঢুকে প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

নিহত আবদুল হামিদের বড় ভাই আবদুল আজিজ দাবী করে বলেন, আবদুস সালামের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দুইদল সন্ত্রাসীদের মধ্যে চিংড়ি ঘেরের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বুধবার বিকালে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

তিনি আরও বলেন, সকালে খবর পেয়ে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় গুলিতে নিহত আবদুল হামিদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের বুকের ডান পাজরে গুলির চিহ্ন ও দুইহাতের কোপের জখম রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!