পটিয়ায় ঈদের বোনাস ও বেতন না দিতে শ্রমিক ছাঁটাই করলো সান ফ্যাশন

ঈদের বোনাস ও নিয়মিত বেতন ফাঁকি দিতে পটিয়ার সান ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেডে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। ইতিমধ্যে গার্মেন্টসের প্রায় ৭০ জন শ্রমিককে বিনাকারণে ছাঁটাই করা হয়েছে।
গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির ও জিএম (এডমিন) মো. আসিফ শ্রমিক ছাঁটাই কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক এবং পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।
সান ফ্যাশন ওয়্যারের শ্রমিকরা সোমবার (৩ জুন) সকাল থেকে গার্মেন্টসের সামনে বিক্ষোভ করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পটিয়া উপজেলার আমজুরহাট এলাকায় করিম সল্টের মালিক ব্যবসায়ী রেজাউল করিম গার্মেন্টসটি চালু করেন। বর্তমানে ১১শ’ নারী-পুরুষ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন। ঈদকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষ বিনাকারণে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু করায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। পরে পটিয়া থানা পুলিশ গিয়ে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতার চেষ্টা করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, উপজেলার আমজুরহাট এলাকায় সান ফ্যাশন ওয়্যার গার্মেন্টসে বেশ কিছুদিন ধরে ‘শ্রমিক অসন্তোষ’ চলছে। ওই গার্মেন্টসের ক্যাশ অফিসার রাজিব কুমার রুদ্রসহ প্রায় ৭০জন শ্রমিককে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই ছাঁটাই করা হয়েছে। ঈদ বোনাস ও বেতন না দিয়ে একে একে শ্রমিকদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ভয়ে অনেকে মুখ খুলছেন না। পটিয়া উপজেলা, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বোয়ালখালী ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক শ্রমিক এই গার্মেন্টসে কাজ করছেন। ঈদ বোনাস ও নিয়মিত বেতন না দিতে মালিকপক্ষ বিভিন্ন সময় নানা কৌশল অবলম্ব করেন।
ক্যাশ অফিসার রাজিব কুমার রুদ্র ও মোছাম্মৎ ফারজানা আকতার অভিযোগ করেছেন, তাদের ঈদ বোনাস না দিতে মালিকপক্ষ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। বিষয়টি থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোনো সুরহা হয়নি। লোকাল শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়টি ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকেও অবহিত করা হয়েছে।

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান জানান, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিনা কারণে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই না করতে বলা হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে উপজেলা প্রশাসন সবসময় সহযোগিতা করবে এবং পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!