৯১ বছর বয়সেও বয়স্কভাতা জোটেনি গুনু মিয়ার
গুনু মিয়া, বয়স ৯১ বছর। কানেও তেমন শুনেন না, কর্মশক্তিও নেই। তবুও জীবিকা নির্বাহের জন্য বৃদ্ধ বয়সেও তাঁকে বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে ক্ষেত-খামারে কাজ। এ বয়সে এসে এতো কাজ-কর্ম করলেও এখনো বয়স্কভাতা জোটেনি তাঁর কপালে। বলছিলাম লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া বেতুয়া পাড়ার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলের কথা। তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের বয়সও প্রায় ৮২ বছর। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী কেউ কোনো প্রকার সরকারি ভাতা পাননি।
গুনু মিয়া বলেন, ‘এলাকায় তার ২৫/২০ বছরের ছোটরা বয়স্কভাতা পায়। কিন্তু তারা স্বামী-স্ত্রী কেউ বয়স্ক ভাতা পায় না।’
জানা যায়, ৪ ছেলে ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক গুনু মিয়া। ছেলে-মেয়েরা যে যার সংসার নিয়েই ব্যস্ত। মা-বাবার খোঁজ খবর রাখেন না। নিজের জায়গা জমি না থাকায় বর্গায় চাষাবাদ করতেন তিনি। এখন বয়স হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন জানান, বয়স্কভাতা পেতে আবেদন করলে আগামী অর্থ বছরে গুনু মিয়ার নাম তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হবে।
এএইচ