৯০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের দুই খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

১২৬টি অবৈধ স্থাপনা বাকলিয়া ও পাঁচলাইশে

চট্টগ্রামের রাজাখালী ও চাক্তাই খালের আশপাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে উচ্ছেদের আগে নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিতে বলেছেন আদালত। জেলা প্রশাসনের হিসাবে, বাকলিয়া এবং পাঁচলাইশ মৌজায় ১২৬টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে রাজাখালী এলাকায় ৬১ এবং চাক্তাইয়ে রয়েছে ৬৫টি অবৈধ স্থাপনা।

বুধবার (১৬ মার্চ) এ বিষয়ে জারি করা রুল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই খাল ও রাজাখালী খালের প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত করে খালের জায়গায় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নির্মাণ কাজ বন্ধে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট করে।

২০১৬ সালের ৬ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে জেলা প্রশাসন প্রতিবেদন দাখিল করে জানান, বাকলিয়া এবং পাঁচলাইশ মৌজায় ১২৬টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে রাজাখালী এলাকায় ৬১টি এবং চাক্তাই এলাকায় রয়েছে ৬৫টি অবৈধ স্থাপনা।

বুধবার (১৬ মার্চ) এ রুলের ওপর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের দুটি খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্ছেদের আগে নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিতে বলেছেন আদালত। এছাড়া আদালত মামলাটি চালু রেখেছেন বলেও জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এ মামলায় বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, অর্থ, এলজিআরডি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব, সিডিএ চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, জেলা প্রশাসক, এডিসি, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, বাকলিয়ার এসি ল্যান্ড এবং ওসি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!