৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে রাঙ্গুনিয়া থানায় শিক্ষক আটক

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা থেকে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্ষণ করেছে এক শিক্ষক। ৮ বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের সময় ধর্ষককে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। মো. জুয়েল (২৭) নামের ওই ধর্ষক এখন রাঙ্গুনিয়া থানা হেফাজতে রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে তাকে আটক রাখা হয়েছে।

সোমবার (১ জুন) উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়েনের হাজারীখীল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ধর্ষক মো. জুয়েল পেশায় শিক্ষক। তিনি উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের হাজারী খীল আইল্লের বাপের বাড়ি এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে স্থানীয় একটি পাঠাগারের ৮ বছর বয়সী শিশুটি খেলছিল। সেখান থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে জুয়েল। একপর্যায়ে শিশুটির চিৎকারে পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। শিশুকে উদ্ধারের পর জুয়েলকে ধরে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী।

ওইসময় এলাকাবাসীর চাপের মুখে জুয়েল ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এর আগেও সে বেশ কয়েকবার এ ধরনের অপরাধ করেছে বলেও জানায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দেয়। তাকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকায় ঘুরিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে ইউপি সদস্য আলমগীর হাসান সিকদার এসে তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় তাকে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন সিকদার বলেন, ‘ স্থানীয়রা হাতেনাতে জুয়েলকে ধরেছে। শুনে আমি দ্রুত ছুটে যাই ঘটনাস্থলে। এলাকাবাসীরা এ নিয়ে উত্তেজনায় ছিল। তারপর রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে ফোন করলে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এ নোংরা অপরাধের কঠিন শাস্তি চাই।’

শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখন সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। সুষ্ঠু বিচার না পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের সময় এলাকাবাসী জুয়েল নামের এক যুবককে হাতেনাতে ধরেছে। আমরা তাকে আটক করে এনে থানায় রেখেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!