৮ এজেন্ট ধরে নির্বাচনী অফিস তছনছ করে ‘মানবিক পুলিশিংয়ের’ নমুনা দেখাল ডবলমুরিং থানা

‘পাঠানটুলীতে প্রার্থী কে— বাহাদুর নাকি থানার ওসি?’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাদেরের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে তার ৮ সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশ কাদেরের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে তার এজেন্টদের কাগজপত্রও নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করছেন আব্দুল কাদেরের স্ত্রী নুসরাত জাহান।

ডবলমুরিং থানা পুলিশ কাদেরের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনায় চরমভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে গত কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন নুসরাত। পুলিশ সেখানে সরাসরি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের পক্ষ নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে।

আব্দুল কাদেরের স্ত্রী নুসরাত জাহান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না আসলে কার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি— নজরুল ইসলাম বাহাদুর, নাকি থানার ওসির বিরুদ্ধে। নির্বাচনের মাঝপথে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। জামিনে থাকা আসামিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনে একটিভ না থাকতে বলে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে হাইকোর্টের জামিনে থাকা সেই ৫ জনকে নতুন একটা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আজ আবার নির্বাচনী অফিস থেকে এজেন্টদের কাগজপত্র সব নিয়ে গেছে। আমাদের ৮ জন নেতাকর্মীকে ধরেও নিয়ে গেছে। এখন শুনছি এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।’

এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশে উর্ধতন মহলে অভিযোগ করেও কোন সুফল মিলছে না বলে জানান নুসরাত।

এসব বিষয়ে কথা বলতে ডবলমুরিং থানার সদ্যনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীনকে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে সিএমপির পশ্চিম জোনের উপ কমিশনার ফারুক হক বলেন, এসব অভিযোগ আমি আগে শুনিনি। এমন হওয়ার কথা না। কেউ যদি আমার কাছে অভিযোগ করে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!