৭ লাশ কক্সবাজারের ট্রলারডুবিতে, একজন এখনও নিখোঁজ

কক্সবাজারে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুই জেলের লাশ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও একজন নিখোঁজ আছেন বলে জানায় পুলিশ।

রোববার (২১ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের পূর্ব হামজার ডেইল এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে হোসেন আহমদ, মামুন পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আজিজুল হক, হামজার ডেইল এলাকার নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আবছারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিকালে উদ্ধার করা হয় পূর্ব হামজার ডেইল আদর্শ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে নাজির হোসেন (২৮) ও ছৈয়দ নুরের ছেলে নুরুল ইসলামের (৩৫) মরদেহ।

এর আগে শনিবার বিকাল ও রাতে মো. আইয়ুব এবং সাইফুল ইসলাম নামের আরও দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা সবাই সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের বাসিন্দা।

তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন খোরশেদ আলম বাবু (২৮) নামের এক জেলে। তিনি পূর্ব হামজার ডেইল আদর্শ গ্রামের সব্বির আহমদের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের কাছাকাছি সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় কোস্ট গার্ড সদস্য ও অন্য জেলেরা আট জেলেকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ ছিল ১১ জন।

এর আগে মঙ্গলবার সদর উপজেলার খুরুশকূলের জনৈক জাকির হোসাইনের মালিকাধীন ট্রলারটি ১৯ জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। ফেরার সময় এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। তবে ট্রলারটি এখনও উদ্ধার হয়নি।

পরে ওইদিন রাতে সাগরে অবস্থান করা বিভিন্ন ট্রলার নিখোঁজ থাকা তিন জেলেকে উদ্ধার করে।

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘রোববার সকালে ও বিকালে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা।’

স্বজনদের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!