৭ মার্চের ভাষণ ৪০ বছর অবহেলিত ছিল

৭ মার্চের ভাষণ ৪০ বছর অবহেলিত ছিল 1এহসান আল-কুতুবী : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে ১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জাতি দেশ বাঁচাতে যুদ্ধে ঝাঁিপয়ে পড়েছিল । আর ৭মার্চের ভাষন সেদিন ৭ কোটি বাঙ্গালীকে এ যুদ্ধে ঝাঁিপয়ে পড়তে সাহস যুগিয়েছিল । বঙ্গবন্ধুর এ ভাষনের মাধ্যমে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানী রাজাকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা লাভ করে । তার সেদিনের ভাষনটি ছিল ঐতিহাসিক । যা বিশ্বময় আলোড়ন সৃষ্টি করে ।
স্বাধীনতা দীর্ঘ ৪০বছর পর বঙ্গবন্ধুর এ ভাষনটিকে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় শনিবার দেশব্যাপি আনন্দ শোভাযাত্রা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনন্দ উদযাপন করা হয় ।
তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন আয়োজন করে আনন্দ শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য’হিসেবে স্বীকৃতি লাভ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রার অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ৪০ বছর অবহেলিত ছিল ।

এর আগে নগরীর সার্কিট হাউজে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই মূলত মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ছিল। এই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণটিকে রাজাকার-আলবদরেরা ৪০ বছর বঞ্চিত ও অবহেলিত করে রেখেছিল। যেটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেল। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।’

‘নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তথ্য জানাতেই এ আয়োজন করা হয়েছে।’ যোগ করেন বিভাগীয় কমিশনার।

উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহুবব আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি নির্দেশনায় বাঙালী জাতির এই অসামান্য অর্জনকে উদযাপনে আনন্দ শোভাযাত্রায় নগরীর সরকারি-বেসরকারি দফতর, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যলয়, কলেজ, স্কুলের হাজারো লোকজন এবং শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে উপস্থিত হয়। যাদের সকলের হাতেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য নিয়ে লেখা পতাকা। এছাড়াও হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড দল আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!