৭ দিনের মধ্যে বিদেশি চ্যানেল চালু করতে আইনি নোটিশ

সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশে সব বিদেশি চ্যানেল ফের সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয় ও কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনকে। অন্যথায় প্রচলিত আইনে হাইকোর্টে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন বিহীন) ছাড়া কোন বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা হলে বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলেও ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন বিহীন) সম্প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রচলিত আইনে হাইকোর্টে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ নোটিশ পাঠান। ওই নোটিশে একইসঙ্গে ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন বিহীন) ছাড়া কোন বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা হলে বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলেও ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন বিহীন) সম্প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপনমুক্ত (ক্লিন ফিড) বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে সেগুলো সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। তবে বিদেশি চ্যানেলগুলো ফের সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণে তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন ও কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এস এম সামসুর রহমান শিমুলকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেন, ‘দেশীয় দর্শক-শ্রোতারা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে মান সম্পন্ন টিভি অনুষ্ঠান দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কারণ দেশের টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানের মানের চেয়ে বিদেশি চ্যানেলের মানের অনেক উন্নত। এ কারণে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে বন্ধ থাকা বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলো খুলে দিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশের জবাব না পেলে পরবর্তী সময়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নোটিশে বলা হয়েছে, বিদেশি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে ক্লিন ফিড ছাড়া কীভাবে বাংলাদেশে সম্প্রচার অব্যাহত রাখা যায়, সেই ব্যাপারে কোনো আলোচনা না করেই সেগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। এই হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ বিদেশি চ্যানেল দেখার প্রয়োজনীয় ফি দিয়েও বিদেশি চ্যানেল দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বিনোদনের অভাব দেখা দিয়েছে, যা সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশের সংবিধান ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।

বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের মান অত্যন্ত নিম্ন। ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশি চ্যানেলগুলো থেকে বিনোদনের স্বাদ নিয়ে থাকে। বিদেশি চ্যানেল বন্ধের ফলে বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে শিশুরা কার্টুন, মহিলারা রান্না ও সিরিয়াল এবং পুরুষরা সংবাদ, খেলা ও রিয়েলিটি শো দেখতে না পারার ফলে ব্যাপক বিড়ম্বনা স্বীকার হচ্ছেন। যা প্রচলিত আইনের পরিপন্থী।

নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশে সব বিদেশি চ্যানেল ফের সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন বিহীন) ছাড়া কোন বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা হলে বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলেও ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপন বিহীন) সম্প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রচলিত আইনে হাইকোর্টে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে বিদেশি চ্যানেলগুলো তাদের মূল কনটেন্টের সঙ্গে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না— সরকারের এমন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে বিদেশি সব টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার ওইদিন রাত থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!