৭৭৫ দিন পর মুক্ত খালেদা জিয়া

৭৭৫ দিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি মুক্তি পান। এর আগে খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

এ সময় খালেদা জিয়া পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৪০১ (১) ধারার উপধারা-১ অনুযায়ী তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তিনি আরো জানান, মুক্তির শর্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রদান করেনি বিএনপি। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান,আমরা এখনো সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র হাতে পাইনি। আমরা সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে ডেকেছি। সবাই বসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের সাথে কথা বলেই প্রতিক্রিয়া জানাবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের চেয়ারপার্সনের বয়স, অসুস্থ্যতা নিয়ে পুরো জাতি উদ্বেগের ভিতর ছিল। সম্প্রতি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়েও জাতি উদ্বেগের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। আমরা ম্যাডামের চিকিৎসার বিষয়ে বারবার আপত্তি তুলেছিলাম। দাবির করেছিলাম সুচিকিৎসার। এখন তিনি নিজের মতো করে চিকিৎসা করাতে পারবেন। এটি আমাদের জন্য স্বস্থির বিষয়, জাতির জন্য স্বস্থির বিষয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দন বলেন, ম্যাডামের মুক্তিটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। কাগজপত্র হাতে আসার পর এ বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করা হবে।

নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিলাম এটা সাজানো মামলায় সাজা। ম্যাডামকে সাজা আদালত দেয়নি, দিয়েছে সরকার। এখন সরকারি সিদ্ধান্তেই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন।

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশিদ বলেন, শর্ত সাপেক্ষে উনাকে কারাগার থেকে বাসায় স্থানান্তর করছে সরকার। কাগজপত্র পেলে আমাদের আইনজীবীরা এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন। তবে, এইটুকুতে আমরা ম্যাডামের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভালো করতে পারবো। আপাতত কারগারের নির্জনতা থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন বলে আমরা স্বস্তি পাচ্ছি।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালত থেকে সাজা প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া।

এফএম/এফএমও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!