গম আমদানির নামে যমুনা ব্যাংকের ৭২ কোটি টাকা মেরে দেওয়ার মামলায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ছিদ্দিক ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাট এবং যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মনজুরুল আহসান চৌধুরীর বিচার শুরু হয়েছে চট্টগ্রামের আদালতে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালতে শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে নিয়মিত বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হয় প্রথম দিনে।
ছিদ্দিক ছাতাখ্যাত চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ছিদ্দিক ট্রেডার্স ও সাঈদ ফুড লিমিটেডের মালিক আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাট ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির জন্য যমুনা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় একটি এলসি খোলেন।
কিন্তু ব্যাংকের মঞ্জুরিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাঈদ ফুড লিমিটেড কোম্পানির নামে তিন দফায় যমুনা ব্যাংকের ৭১ কোটি ৯২ লাখ ৩ হাজার ১১৬ টাকা পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন সাঈদ ফুডের মালিক আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাট ও খাতুনগঞ্জ শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মনজুরুল আহসান চৌধুরী।
এ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পায় দুদক। ২০১৭ সালের ৩০ জুলাইয়ে তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরপর ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ছিদ্দিক ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদ চৌধুরী গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান আদালত। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। গত মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) জামিনে থাকা দুই আসামিই শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ছাতা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের মেসার্স ছিদ্দিক ট্রেডার্সের বর্তমান স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ চৌধুরী সম্রাট বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময়ে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ ভোগ্যপণ্যের ব্যবসার নাম করে। কিন্তু ব্যক্তিগত ভোগবিলাসে অর্থনাশ করে অল্পসময়েই তিনি ঋণখেলাপিদের তালিকায় স্থান করে নেন। দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় ১৭ নম্বরে থাকা ছিদ্দিক ট্রেডার্স ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা পাবে ব্যাংকগুলো। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে একাধিক।
সিপি