৭০০ টাকায় করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা এবার বেসরকারি হাসপাতালে, ফল ২০ মিনিটে

করোনাভাইরাসের বিস্তার নতুন করে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের মানসম্পন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোর করোনাভাইরাস শনাক্ত করার অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই পরীক্ষা করাতে খরচ পড়বে ৭০০ টাকা। দুয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে যাচ্ছে সরকার। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সীমিত আকারে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করা হয় বাংলাদেশে। সরকারিভাবে ১০০ টাকায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়ে থাকে।

দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রায় নমুনাই পরীক্ষা করা হয় আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে। তবে এই পদ্ধতি কিছুটা সময়সাপেক্ষ। আরটি-পিসিআরের ফলাফল পেতে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় লাগে। তবে পরীক্ষাটি নির্ভরযোগ্য।

অন্যদিকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফল পাওয়া যায় ২০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মধ্যে। সঠিক ফল দেবার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা ৮০ শতাংশ। এই পরীক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল দিতে পারে। দ্রুত শনাক্ত মানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এছাড়া অ্যান্টিজেন পরীক্ষার খরচও তুলনামূলক কম। পিসিআর টেস্টে অনেক যন্ত্রপাতি লাগে, বায়োসেফটি আছে এমন ল্যাব লাগে, দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দরকার হয়। অন্যদিকে অ্যান্টিজেন টেস্টে তেমন কোনোব্যবস্থা লাগে না। একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে অল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে, আঙুলের আকৃতির একটি কিট ও দরকারি সলিউশনসহ একটি টেবিল থাকলেই হয়। অ্যান্টিজেন পরীক্ষা গাড়ির ভেতরেও যেকোনো জায়গায় বসেই করা যায়। কোন ল্যাব দরকার হয় না। এর জন্য দরকারি কিট বহনযোগ্য। চাইলে কোন ব্যক্তি নিজেও এই পরীক্ষা করতে পারেন।

সরকারিভাবে ১০০ টাকায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হলেও বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই পরীক্ষা করাতে খরচ পড়বে ৭০০ টাকা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে বায়োসেন্সর এবং প্যানবায়ো নামে দুটি কিটের। এসব কিটের আনুমানিক মূল্য ৫০০ টাকা। এই মূল্যের সঙ্গে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের অন্যান্য খরচসহ পরীক্ষাটির সর্বোচ্চ মূল্য ৭০০ টাকা করা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!