ডেটাবেজ/ ৬০ লাখ মানুষের তথ্যের জন্য ঘরে ঘরে যাবে চট্টগ্রামের পুলিশ

দুই বছর বিরতির পর আবার নাগরিক তথ্য হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিচ্ছে চট্টগ্রামের নগর পুলিশ (সিএমপি)। জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরোধ এবং দ্রুত অপরাধী শনাক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে তিন বছর আগে নাগরিক তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছিল নগরীজুড়ে। জানা গেছে, অন্তত ৬০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দ্বিতীয় দফার এই কার্যক্রমে। সিএমপির হিসাব মতে, নগরীতে প্রায় ৮০ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে।

২০১৬ সালে যখন জঙ্গিরা গোপনে আস্তানা গড়ে তুলেছিল বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে, তখন সারা দেশের মত চট্টগ্রাম মহানগরীতেও নাগরিক তথ্য সংগ্রহ করেছিল পুলিশ। সেই সময় প্রায় ২০ লাখ নাগরিকের তথ্য নিজেদের তথ্যভাণ্ডারে যুক্ত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। তবে মাঝে দুই বছর বিরতি গেলেও আবার নাগরিক তথ্য হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছে সিএমপি। এ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এ কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, আগের মত ‘ডোর-টু-ডোর’ গিয়ে নেওয়া হবে বাসার মালিক ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিকের তথ্য নেওয়া হবে সিএমপির নির্ধারিত ফরমে। একই পরিবারের সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে আলাদা আলাদা ফরমে। ভাড়াটিয়াদের সবার তথ্য ফরম পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ির মালিকের কাছেও এক কপি করে ভাড়াটিয়ার তথ্য ফরম সংরক্ষণ করার জন্য সিএমপির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, সিএমপির চার জোনের ১৬ থানার ১৪৫টি বিটের পুলিশ সদস্যরা মাসব্যাপী প্রতিদিন এসব তথ্য সংগ্রহ করবেন। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সব উপ-পুলিশ কমিশনার ও ওসিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ছবিসম্বলিত এই নাগরিক তথ্য শুধু জঙ্গিবাদ দমনেই নয়, যে কোনো অপরাধের ঘটনায় দ্রুত অপরাধীকে শনাক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তাই অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়টি আগের চেয়ে অনেক সহজ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিক তথ্য সিএমপির কাছে সংরক্ষিত থাকবে। কেউ চাইলেই কারও তথ্য সিএমপির কাছ থেকে নিতে পারবে না। কোনো ভাড়াটিয়া বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে তিনি নতুন যে বাসায় উঠবেন সেই বাসার মালিককে বিষয়টি অবশ্যই সংশ্নিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করতে হবে।’

আগামী ১৫ জুলাই সিএমপির দক্ষিণ বিভাগের কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের মাধ্যমে নতুন করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে পুলিশ কমিশনারের।

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!