৬টি বড় জাহাজ কিনবে বিএসসি

আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলের জন্য সমুদ্রগামী ছয়টি বড় জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি আরও জানান, ওই ছয়টি জাহাজের মধ্যে রয়েছে দুটি ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাংকার, দুটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার (ডিজেল পরিবহন উপযোগী) ও দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার (কয়লা পরিবহন উপযোগী) জাহাজ। এছাড়া সরকারের সমুদ্রগামী চারটি নতুন সেলুলার কন্টেইনার জাহাজ কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে চলাচলকারী সরকারি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিসির ৮৫টি জলযান এবং আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলের জন্য বিএসসির আটটি সমুদ্রগামী জাহাজ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে যাতায়াতের জন্য বিআইডব্লিউটিসির জলযানসমূহের মধ্যে ফেরি ৫০টি, যাত্রীবাহী জাহাজ ২৩টি (অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী জাহাজ পাঁচটি, উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ তিনটি, সী ট্রাক ৯৬টি, ওয়াটার বাস-ট্যাক্সি ৯টি) এবং কার্গো জাহাজ ১২টি (কন্টেইনারবাহী জাহাজ ৪টি, কোস্টার ১টি, বে ক্রসিং বার্জ সাতটি)। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলের জন্য বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)-এর বহরে আটটি জাহাজের মধ্যে তিনটি নতুন প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার, তিনটি নতুন বাল্ক ক্যারিয়ার ও দুটি লাইটারেজ ট্যাংকার রয়েছে।’

একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বিআইডব্লিউটিসির দুটি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী জাহাজ, দুটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ এবং বিভিন্ন ধরনের ১০টি ফেরি নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের জন্য তিনটি যাত্রীবাহী ক্রুজার সংগ্রহ বা নির্মাণ, তিনটি আধুনিক অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী জাহাজ সংগ্রহ বা নির্মাণ, চারটি আধুনিক উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ সংগ্রহ বা নির্মাণ, আটটি সী-ট্রাক সংগ্রহ বা নির্মাণ, একটি সালভেজ কাম ফায়ার ফাইটিং টাগ সংগ্রহ বা নির্মাণসহ মোট ৩৯টি নৌযান নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিংয়ের জন্য মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। এর আওতায় ১৭৮টি নদী খনন করে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে।

আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌপথের দৈর্ঘ্য বর্ষাকালে প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার। তবে শুষ্ক মৌসুমে এটি কমে ৬ হাজার কিলোমিটারে চলে আসে। এছাড়া তিনি জানান, নৌপথে নিরাপত্তায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে দুর্ঘটনা বহুলাংশে কমানো সম্ভব হয়েছে। নৌযানগুলো বাধাহীনভাবে নিরাপত্তার সঙ্গে চলাচল করতে পারছে।

আওয়মী লীগের আরেক সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে দুই দেশের নৌ-প্রটোকলভুক্ত ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!