৫ হাজার মাসিক আয়ের ‘ধোপা’ চড়েন বিলাসী গাড়িতে, স্ত্রীই বেশি ধনী

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী পেশায় লন্ড্রি ব্যবসায়ী। ঘাটফরহাদবেগ এলাকায় মেসার্স মা-মনি শালকর নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা থেকে তার বার্ষিক আয় ৭০ হাজার টাকা বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। সে হিসেবে তার মাসিক আয় দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮৩৩ টাকা।

কাউন্সিলর হিসেবে তিনি বার্ষিক সম্মানী ভাতা পান ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে তার ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪০ টাকা।

হাসনীর হাতে নগদ ৪ হাজার ২৬৫ টাকা থাকলেও স্ত্রীর হাতে আছে ১১ লাখ ৭৪ হাজার ৩২৯ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা আছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৭ টাকা। স্ত্রীর নামে ৫ লাখ ৭১ হাজার ১৮১ টাকা। স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ তার নামে আছে ৫৬ হাজার ৯৮৮ টাকা, স্ত্রীর নামে আছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার কাছে ৩০ হাজার টাকার অলঙ্কার থাকলেও স্ত্রীর আছে ১২ লাখ টাকার অলঙ্কার।

ঘরের আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী হাসনীর আছে ৫৫ হাজার ২৫০ টাকার, স্ত্রীর আছে ১০ লাখ টাকার। অস্থাবর সম্পদের অন্যান্য কলামে তার নামে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা থাকলেও স্ত্রীর আছে ৩৫ লাখ টাকা। ৭ লাখ ৪২ হাজার ৭৫০ টাকা দামের অকৃষি জমি আছে হাসনীর। শূন্য দশমিক শূন্য চার তিন নয় অযুতাংশের ফ্ল্যাট আছে তার নামে, কিন্তু সেই ফ্ল্যাটের দাম তিনি উল্লেখ করেননি হলফনামায়।

১৯৮৭, ৮৮ ও ৯৩ সালে দায়ের হওয়া তিনি তিনটি ফৌজদারি মামলার আসামি ছিলেন। প্রথম দুটি থেকে তিনি ২০০৮ সালে এবং শেষটি থেকে ২০১৫ সালে খালাস পান।

প্রত্যেক ক্ষেত্রে নিজের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেশি থাকা হাসনী বিলাসবহুল গাড়িতে চড়লেও হলফনামায় গাড়ির কলাম রেখেছে শূন্য। হলফনামা অনুসারে হাসনীর নামে কোন ঋণ নেই।

এফএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!