৫ টন বিপজ্জনক রাসায়নিক ধ্বংস করা হবে চট্টগ্রাম বন্দরেই

বন্দরের পি-শেডে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ৫ টন রাসায়নিক পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ । বিপজ্জনক মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের মধ্যে রয়েছে হাইড্রোক্লোরাইড, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, বিপজ্জনক কঠিন পদার্থ, বিপজ্জনক উপাদান, রাসায়নিক প্রক্রিয়াকরণের উপাদান।

সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে এসব পণ্য নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও পরে নিলামে তোলা থেকে সরে আসে কাস্টমস হাউস। শেষপর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ এসব ‘রাসায়নিক’ ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে ধ্বংসের কাজ বাস্তবায়ন করবে কাস্টমস— এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, বন্দরের পি-শেডে বিপজ্জনক পণ্যের ৪৩টি লট সহ মোট ৪৯টি লট নিয়ে বিশেষ নিলামের আয়োজন করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এ নিলাম। নিলাম আয়োজন করা ৪৯টি লটের ৪৩টিকেই রয়েছে বিভিন্ন বিপজ্জনক রাসায়নিক পণ্য। অন্যদিকে পচনশীল ফলমূল রয়েছে ছয়টি লটে। ৪৩টি রাসায়নিক পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগ পণ্যই ড্রামে রাখা। যা রাখা আছে বন্দরের পি শেডে। তবে সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ ৫ টন রাসায়নিক পণ্য আর নিলামে যাবে না। সেগুলো ধ্বংস করে ফেলা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (নিলাম) ফরিদ আল মামুন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ৫ টনের মতো মেয়াদোত্তীর্ণ রসায়নিক রয়েছে বন্দরের পি শেডে। এর মধ্যে হাইড্রোক্লোরাইড, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, বিপজ্জনক কঠিন পদার্থ, বিপজ্জনক উপাদান ছাড়াও কিছু কস্টিক সোডা রয়েছে। যা ধ্বংসের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টমস হাউস।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ‘পি শেডে’ খালাস না নেওয়া এসব পণ্য মজুদ করা রয়েছে। বিপজ্জনক এসব পণ্যের তালিকায় এমন কিছু পণ্য আছে, যা সেই ২০০০ সাল থেকেই শেডে পড়ে আছে। যদি এসব পণ্য বিস্ফোরিত হয়, তাহলে লেবাননের বৈরুতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে রসায়নবিদরা আশঙ্কা করছেন।

লেবাননের বৈরুতে বিস্ফোরণ হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরেও কী পরিমাণ বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য গত ৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি বন্দরের পি-শেডে ২৩ ধরনের পণ্যের মজুদ খুঁজে পায়।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!