৫ কোটি টাকার বিদেশি ব্রান্ডের সিগারেট জব্দ চট্টগ্রাম কাস্টমসে

শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির কথা বলে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের আনা ৫ কোটি টাকার সিগারেটের একটি চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিগারেটের চালানটি জব্দ করার পর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য দেয়া শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধা নেন আমদানিকারক।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্মকর্তারা জানান, পাবনার ঈশ্বরদী এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ঈশ্বরদী ইপিজেড) এলাকার প্রতিষ্ঠান ফুজিয়ান এক্সপোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কাঁচামাল হিসেবে তারা পলিয়েস্টার পিইটি স্ট্র্যাপ আমদানি করে। প্রতিষ্ঠানটি পলিয়েস্টার পিইটি স্ট্র্যাপ ঘোষণায় অন্য পণ্য আমদানি করছে বলে গোপনে সংবাদ পান কাস্টমস গোয়েন্দার মহাপরিচালক। বিষয়টি কাস্টমস গোয়েন্দার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়কে অবহিত করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম থেকে আইজিএমটি ব্লক করা হয়। একই সঙ্গে কাস্টমস গোয়েন্দার অনাপত্তি ছাড়া চালানটি খালাস না করার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। বুধবার প্রতিষ্ঠানের কন্টেইনারটি ফোর্স কিপ ডাউন এর মাধ্যমে কাস্টমস গোয়েন্দার প্রতিনিধিরা শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করেন। ইনভেন্ট্রি করে ঘোষণা বর্হিভূত ন্যানো ওরিস, ব্লাক, ডানহিল, ডেভিডোফ ব্র্যান্ডের ৪৮ লাখ ২৮ হাজার শলাকা (৩৭৪৮.৭ কেজি) বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

কর্মকর্তারা জানান, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য দেয়া শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানির কথা থাকলেও বাস্তবে পাওয়া যায় বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট। শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় আমদানি করা হয় এসব সিগারেট। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

চালান আটকের পর বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কার্যালয়ে উক্ত দপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল ‘পলিয়েস্টার পিইটি স্ট্র্যাপ’ ঘোষণায় আমদানি করা হয়েছে কন্টেইনার ভর্তি বিদেশি সিগারেট। যারা এ ধরণের অপরাধে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত চালানটি গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ভারত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। এতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সন্দেহ থাকায় গত ৩১ জানুয়ারি উক্ত চালান ব্লক করা হয় কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে। উক্ত চালানের বিষয়ে কোন সিএন্ডএফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেননি।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!