৫২ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিললো না রেল কর্মচারীর

স্বাধীনতা যুদ্ধের ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া রেলকর্মচারী নজির আহাম্মদ পেলেন না মুক্তিযোদ্ধার সরকারি স্বীকৃতি। সহযোদ্ধারা অনেকে এই স্বীকৃতি পেলেও তালিকায় নাম নেই তার।

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাছাইকালে আবেদন করার পর প্রথম তালিকায় নাম এলেও পরবর্তী সংশোধিত তালিকা থেকে তার নাম বাদ যায়। পরে মন্ত্রণালয়, এমপি, নেতাদের কাছে গেলেও সমাধানের আশ্বাসই শুধু মিলেছে।

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিবঞ্চিত নজির আহম্মদের জন্ম ১৯৫৭ সালের ২ জানুয়ারী। ১৯৭১সালে ১ অক্টোবর ভারতের হরিনা আর্মি ক্যাম্পে রাইফেল প্রশিক্ষণ নেন। ১ নম্বর সেক্টর ট্রপস কমান্ডার কাজী সিরাজুল ইসলাম ও সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নেতৃত্বে সীতাকুণ্ডে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।

যুদ্ধের পর দেশরক্ষা বিভাগ হতে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গনী ওসমানী স্বাক্ষরিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র পান তিনি।

তার বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ১ নম্বর কমর আলী ইউনিয়নের বগাচত্বর গ্রামে। তার বাবার নাম মুকসুদ আহাম্মদ।

নজির আহাম্মদ চট্টগ্রাম রেলওয়ের পাহাড়তলী ডিজেল সপ থেকে ২০১৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

নজির আহাম্মদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার কোনো চাহিদা ছিলো না। চেয়েছি আমার সন্তান যাতে বুক ফুলিয়ে বলতে পারে, তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। আমার কাগজপত্র বা আমার বিষয়ে সরকার খোঁজ নিয়ে দেখুক আমি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কি-না। দেশ আমাকে কিছু না দিক, অন্তত এ প্রাপ্য স্বীকৃতি টুকু দিক যেন আমি শান্তিতে মরতে পারি।’

রেল ডিজেল সপ কর্মচারীরা বলেন, সরকারিভাবে তার নাম আসে তালিকায়। পরে কোনো কারণে সংশোধন হওয়া তালিকা থেকে নামে বাদ দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা এই রেল কর্মচারীর বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি দেওয়া উচিত।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!