৫০ হাজার কোটি টাকা পেল চট্টগ্রাম কাস্টমস

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড অর্জন করেছে। যা অতীতে আদায় হওয়া রাজস্ব থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের তিন দিন বাকি থাকতে ২৭ জুন (রোববার) পযর্ন্ত আদায় হলো ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা।

এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ। গত এক বছর আগে সবোর্চ্চ ছিল ২১ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে তুলনামূলক ১ শতাংশ। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের হিসাব মতে, জুন মাসের তিন দিন বাকি থাকতেই আদায় হলে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। রোববার একদিনেই আদায় হয়েছে ৯৯৯ কোটি টাকা।

অথচ জুনের টার্গেট ছিল ৫ হাজার কোটি টাকা। গত বছর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের বার্ষিক অর্জন ছিল ৪১ হাজার ৮৫ লাখ ৩৮৬ কোটি টাকা। এ অর্থ বছরে আদায় হলো ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। বাকি তিন দিনে আরো এক হাজার কোটি টাকা আদায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জুন মাসের মাসিক টার্গেটকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, ‘আমরা রাজস্ব আদায়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছি। এটি একটি বড় রেকর্ড। গত যে কোন রেকর্ড থেকে আমরা এগিয়ে। করোনা মহামারির এ সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন এটি সামান্য কথা নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাজস্ব বৃদ্ধিতে তিনটি জায়গায় জোর দিয়েছি। তা হলো এইচএস কোড, পণ্যের মূল্য, মিস ঘোষণা বন্ধ। এর সুফল হিসেবে এত টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হলো।’

টার্গেট স্পর্শ করতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা বাণিজ্য এমনিতেই মন্দা। দেশের আমদানি রপ্তানি বাড়লে রাজস্ব আদায় আরও বাড়তো। তবে, আমরা হাফ সেঞ্চুরি অর্জন করেছি। এটি একটি স্বীকৃতি পাওয়ার মতো অর্জন।

জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের চট্টগ্রামের এ শুল্ক স্টেশনের বাষিক টার্গেট ছিল ৬৪ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। আদায় হওয়া রাজস্ব যদিও টার্গেট থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে থাকবে। এরপরও এ আদায় হওয়া রাজস্বকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন বলেন, ‘করোনার মহামারিতে কাস্টমস হাউস খোলা ছিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সিএন্ডএফ সদস্যরা কাস্টমস হাউসে কাজ করেছে। এ অর্জন কাস্টমসে জড়িত সকলের।’

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিকালে শুল্ক স্টেশন চালু রাখাও চ্যালেঞ্জ ছিল। সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে বন্দর কাস্টমস চালু রাখা হয়েছিল। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এগিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো দেশ এগিয়ে যাওয়া। আগামিতে আরো বেশি ব্যবসা বান্ধব হতে হবে এ শুল্ক স্টেশনকে। ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যেন না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!