৫০ টাকার লোভ দেখিয়ে চট্টগ্রামে দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক দেখাল ভিডিও ছাড়ার ভয়

পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই শিশুকে ধর্ষণ করা হয় মাসখানেক আগে। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তাদের ভয় দেখানো হয়, কাউকে বললে ছড়িয়ে দেওয়া হবে ইন্টারনেটে। এরই মধ্যে ধর্ষণের শিকার এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রকাশ পায় পুরো ঘটনা।

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার খালপাড় আলতাফ কলোনিতে ঘটেছে এই ঘটনা। স্থানীয় এলাকাবাসী ধর্ষক মো. মোশাররফকে (৪৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তিনি বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার মিয়া বাড়ির হাসিদ মিয়ার ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার আলতাফ কলোনির ইনচার্জ হিসেবে তিনি কাজ করছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাকলিয়ার খালপাড় আলতাফ কলোনির বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী কুসুম (ছদ্মনাম) ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মুনিয়াকে (ছদ্মনাম) গত জুন মাসের শুরুর দিকে ওই কলোনীর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত মোশাররফ ৫০ টাকা দেওয়ার ‘লোভ’ দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই ধর্ষক তাদের ভিডিও ধারণও করেন। এ সময় ওই দুই স্কুলছাত্রীকে এই বলে তিনি ভয় দেখান— কাউকে বলে দিলে ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে শুক্রবার (২ জুলাই) ধর্ষণের শিকার কুসুম জননাঙ্গের তীব্র ব্যাথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা এর কারণ জানতে চান। কুসুম এ সময় মাকে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে।

পরে কুসুমের মা স্থানীয়দের সহযোগিতায় শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ধর্ষক মোশারফকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

এদিকে ঘটনার ব্যাপারটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মোশাররফের নিয়োগদাতা ও আলতাফ কলোনির মালিক মোহাম্মদ হাসান। তিনি বলেন, ঘটনাটি ধর্ষণের নয়। আমার কলোনিতে ময়মনসিংহ ও রাজশাহী গ্রুপ নামে দুটি গ্রুপ আছে। প্রতিহিংসামুলকভাবে মোশারফকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন কলোনিটির মালিক।

তবে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুদের অভিভাবকরা জানান, ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে দুই-চারটি থাপ্পর দিয়ে পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন কলোনির মালিক মোহাম্মদ হাসান।

ধর্ষককে আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বাকলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. আরাফাত বলেন, ‘ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!