৫০০ জুতার বাড়ি, ৫০০ টাকা জরিমানা

IMG_20150331_123850

 

রাজধানীর বিভিন্ন স্থান, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সীমানা বা আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নানা ধরনের দেয়াললিখন দেখা যায়। এসব লিখনে সংশ্লিষ্ট কাজ না করতে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞার কথা যেমনি থাকে, তেমনি থাকে শাস্তির কথাও।

তবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি গোলাম হায়দারের বাসভবনের দেয়ালে দেখা গেছে একটু ব্যতিক্রমী লিখা।

একটি ডিজিটাল ফেস্টুনে পাঁচ লাইনে ও চার রঙে লিখা ‘এখানে প্রসাব (প্র¯্রাব) করিলে ৫০০ জুতার বারি ও ৫০০ টাকা জরিমানা, প্রচারে টেম্পু স্টান (স্ট্যান্ড), সৌজন্যে : আবুল ভাই।’

৫০০ সংখ্যাটি লাল কালি দিয়ে লিখা।

তারপরও এখানে মূত্র ত্যাগ থেকে বিরত থাকছেন না অনেকেই।

লেগুনা চালক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কী কমু ভাইজান। পাচসো (পাঁচশ) জুতার বারি আর টেকার জরিমানার ডর দেখাইয়াও পাবলিকরে ঠেকাইবারই পারি না। আমরা কয়েকজন মিল্লাই এইডা লটকাইছিলাম। ম্যালাদিন আগে একটারে ধইরা পিটাইছিলাম। অনেক ক্যাচাল হইছিলো। কেঠায় করে এতো ক্যাচাল। মাইনসেরে কী পাহারা দিয়া রাখন যায়? অনেকে আছে পরবারও (পড়তেও) পারে না। ম্যালা জ্বালা ভাইজান।’

কারাগারের প্রধান ফটক থেকে চকবাজার, এর প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় ডিআইজির বাসভবন। ভবনের সীমানাপ্রাচীরে এসব লেখাসম্বলিত ৩টি ফেস্টুন দেখা গেছে। প্রাচীরের বিপরীত পাশেই লেগুনার স্ট্যান্ড। প্রাচীর ঘেঁষেও মালবাহী পরিবহন পার্কিং করা থাকে।

তিনি আরও বলেন, ‘যের বাড়ির (ডিআইজি গোলাম হায়দার) ওয়াল হেই-তো কিছু কয় না। মাইজেদিয়া গ্যাঞ্জাম করি আমরা। আমাগো স্ট্যান্ড এইখানে হের লাই¹াই সমস্যা। আমরা হারাদিন থাকি, প্যাসেঞ্জার আহে, বুঝেনই তো।’

‘আবুল ভাই’ সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন। তিনি নিজ খরচে এসব লাগিয়েছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!