৪ মাস পর খুলছে কওমি মাদ্রাসার ঝাঁপ, সম্মতি মিলল প্রধানমন্ত্রীর

অবশেষে মিললো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি। এর মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর হেফজখানাগুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি মিললো। করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৭ মার্চ দেশের সব কওমি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

কোরবানি ঈদের আগেই কওমি মাদ্রাসাগুলোর হেফজখানাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য আলেমরা সরকারের কাছে আবেদন করেন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে বৈঠকও করেন আলেমরা। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সরকারপ্রধানই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে আলেমদের জানানো হয়।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকার তেজগাঁওয়ের জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের পরিচালক আল্লামা ড. মুশতাক আহমেদ জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কওমি মাদ্রাসার হিফজখানাগুলো খুলে দেওয়ার অনুমতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে খুলতে বলা হয়েছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) ড. মুশতাক আহমদ, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ ও মাওলানা মজিবুর রহমান কওমি মাদ্রাসার হেফজখানাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছিলেন।

করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৭ মার্চ দেশের সব কওমি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ১ জুন কওমি মাদ্রাসাগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার শর্তে শুধুমাত্র অফিস খোলার অনুমতি দেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এদিকে করোনায় আর্থিক সংকটে পড়েছে কওমি মাদ্রাসাগুলো। কোরবানির সময় পশুর চামড়া সংগ্রহ করা কওমি মাদ্রাসাগুলোর দীর্ঘদিনের রীতি। মাদ্রাসাগুলোর অর্থ আয়ের অন্যতম বড় উৎসও এটি। এখন কোরবানির আগেই মাদ্রাসা খুলে দেওয়া না হলে এই আয়টুকুও হারাতে হবে মাদ্রাসাগুলোকে— এমন শঙ্কাও ছিল তাদের মধ্যে।

অন্যদিকে কওমি মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এবং আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেশি। সে কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যাবে কিনা— এ নিয়েও রয়েছে উল্টো শঙ্কা। যদি মেনে চলা না যায়, তাহলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!