৪ বছর আগে নিখোঁজ যুবকের কঙ্কাল মিলল সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে

পরকীয়ার অভিযোগে খুন করে লাশ গুম

প্রায় চার বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ তোলে গুম করার পর হত্যা করা হয় মো. সালাউদ্দিন নামের এক যুবককে। হত্যার পর তার লাশও গুম করে ফেলা হয়। এই ঘটনায় দীর্ঘদিন আসামি জামিনে থাকায় তদন্তের কোনো কূল কিনারা করতে না পারায় তদন্তের ভার যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে।

সম্প্রতি আবারও বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসামি মো. আলমগীরকে। গ্রেপ্তার আসামির স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তিতে করে মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ সালাউদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করে সিআইডি।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা ত্রিপুরাপাড়া থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সালাউদ্দিন সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দীঘিরপাড় এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। আসামি আলমগীরও একই এলাকার নুর আলম মেম্বারের ছেলে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে সালাউদ্দিন নিখোঁজ হন। আলমগীরের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে খুন করার পর পাহাড়ের পাদদেশে তার লাশও গুম করা হয়। এ ঘটনায় ওই সময় সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের হলে পরবর্তীতে প্রধান আসামি আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে গেলেও দীর্ঘদিন ধরে এ মামলার তদন্তে কোনো সুহারা মেলেনি। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক এ তদন্তের দায়িত্ব পড়ে সিআইডি হাতে। তদন্তের এক পর্যায়ে আবারও গ্রেপ্তার করা হয় আলমগীরকে।

এদিকে সালাউদ্দিনের লাশ (কঙ্কাল) উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. শরীফ, সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম এবং কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম মোল্লা বলেন, ‘সালাউদ্দিন নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে সিআইডি। তদন্তটা সম্পূর্ণ তাদের। তারাই লাশ উদ্ধার করেছে।’

মুআ/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!