৪ খুনি আদালতে জানালো হত্যাকাণ্ডে ছিল আরও ১ জন

পূর্ব শত্রুতার জেরে আলমগীর হত্যা

ইপিজেড থানা এলাকার বালু ব্যবসায়ী মো. আলমগীর খুন হন গত ১৯ ডিসেম্বর। তার ছেলে আরমান জানে না তার বাবার খুনি কে বা কারা। তাই থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করেই তাকে দায়ের করতে হয়েছিল মামলা।

এই মামলার নথিকে সঙ্গী করে প্রায় ‘ক্লু-লেস’ একটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্তে মাঠে নামে ইপিজেড থানা পুলিশ। একে একে চার ‘খুনি’কে গ্রেফতারে সক্ষম হয় তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে। পরবর্তীতে তাদের হাজির করা হয় আদালতে। সেখানে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এ জবানবন্দিতে উঠে আসে, তারা চারজনসহ মোট পাঁচ জন আলমগীর খুনের সাথে। আদালতে দেওয়া তাদের তথ্য অনুযায়ী আরেক খুনিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ইপিজেড ও নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নুর হোসেন প্রকাশ ছক্কা বাবু (২৩), মো. সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সম্রাট প্রকাশ সম্পদ (১৯), পরিতোষ ঋষি প্রকাশ রাজু প্রকাশ ইসলাম হোসেন ইমন (১৯) এবং মো. মেহেদী হাসান প্রকাশ সোহেল (১৯)। তাদের স্বীকারোক্তি মো. নাঈম (২০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

এ বিষয়ে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বালু সাপ্লাইয়ার আলমগীর খুনের সঙ্গে জড়িত চারজনকে প্রথমে গ্রেফতার করি। তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তারা আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে আরেকজন খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে আমরা রাতে তাকে গ্রেফতার করি। তাকে আজকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।’

প্রসঙ্গ, গত শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ইপিজেড থানার উত্তর পতেঙ্গার রিং রোড় বেড়িবাঁধ এলাকায় খুন হন মো. আলমগীর। তিনি পেশায় বালু ব্যবসায়ী। আলমগীর হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছিলেন নিহতের ছেলে মো. আরমান হোসেন।

এএন/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!