৪ কৌশলে চট্টগ্রামের কাউন্সিলর ‘বিদ্রোহ’ দমন করবে আওয়ামী লীগ

কেন্দ্র থেকে কড়া বার্তা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যেকোন মূল্যে বিদ্রোহীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের মনোভাব— স্থানীয় নেতাদের কাছে এর মধ্যেই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রমতে, চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের অনুসারীদের বুঝিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করাতে। পাশাপাশি একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থাকেও এই কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে নানামুখী চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি নির্বাচন করার সম্ভাবনা বেশি— এমন বিদ্রোহী প্রার্থীদের অনুগত নেতা-কর্মীদের তালিকাও এর মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সকল প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের মামলাগুলোকেও সামনে নিয়ে আসছে ওই সংস্থার লোকজন। এর মধ্যে বেশ কিছু পুরানো মামলার ওয়ারেন্টও হয়ে গেছে বলে একটি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, এই বিষয়ে মূল অ্যাকশনটা শুরু হবে ওবায়দুল কাদেরের মিটিংয়ের পর। ওইদিন রাত থেকে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করে নিলে বিদ্রোহীদের দলে মূল্যায়ন করা হবে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে না তাদের সাংগঠনিক ও প্রশাসনিকভাবে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। শুধু তাই নয় তাদের সহযোগিতাকারীদেরও বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে— জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্রটি।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতারাও দলের হাই কমান্ডের এই মনোভাবের কথা জেনে তাতে সায় দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাতে রেজাউল করিমের সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের বৈঠকেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তারাও হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তের কথা মেনে নিজ নিজ অনুসারীদের জানিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের ৫৫ জন কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দেন। এতে আওয়ামী লীগের বর্তমান ১৪ জন কাউন্সিলর মনোনয়ন বঞ্চিত হন। তাদের মধ্যে ১৩ জনই বিদ্রোহী পদে নির্বাচন করছেন। তবে বিদ্রোহীদের বিষয়ে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিল আওয়ামী লীগ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিদ্রোহী হলে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়ে তাদের সাথে সমঝোতার জন্য বৈঠক ডাকা হয় ৫ মার্চ। ৫ মার্চ থিয়েটার ইন্সটিটিউটে দলের পক্ষ থেকে একই বার্তা দেওয়া হলেও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীকে রাজি করাতে পারেননি তারা।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!